গতকাল বুধবার ও আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাগুলো দায়ের হয়। আদালতের সেরেস্তাদার জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসানকে মামলাগুলোতে বিবাদী করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হারানো ইউনূসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার বক্তব্যের মধ্যে এই মামলাগুলো দায়ের হলো। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচন নয়, বরং দারিদ্র্য লালনপালন করেছে বলেও সম্প্রতি জাতীয় সংসদে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের দ্বিতীয় সর্বাধিক শেয়ার গ্রামীণ টেলিকমের (৩৪.২ শতাংশ)। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকাকালে ‘অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি বলে মামলাকারী কর্মীদের অভিযোগ।
শ্রম আদালতের আইনজীবী বেলাল হোসেন জসীম জানান, দেওয়ানি মামলাগুলোর মধ্যে সাতটি গতকাল এবং তিনটি মঙ্গলবার দায়ের হয়। আদালত বিবাদী ড. ইউনূস ও আশরাফুল হাসানের জবাব চেয়ে সমন জারি করেছেন।
মামলাগুলোতে অভিযোগ করা হয়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের নিট মুনাফা দুই হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮ কোটি টাকা কর্মী ও সরকারকে দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই অর্থের ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের পরিশোধ এবং ১০ শতাংশ সরকার এবং ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ ফান্ডের তহবিলে জমা দিতে হবে। কিন্তু এই মুনাফা কর্মীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়নি।
জানতে চাইলে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান বলেন, ‘আমরা আদালত থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো নোটিশ পাইনি। যদি এ ধরনের মামলা হয়ে থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী মুকাবেলা করা হবে। বিচারাধীন বিষয়ে এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাই না। ’