আইজিপি বলেন, ‘এরই মধ্যে পুলিশের তালিকায় থাকা অনেক জঙ্গি মারা গেছে এবং অনেকে দেশের বাইরে চলে গেছে। তারা সেখানে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে নাকি, পালিয়ে আছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
ফেসবুকে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবসা করে তারা আমাদের কথা শুনবে কেন। আমরা বলেছিলাম জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করা হোক, কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তবে তারা প্রয়োজনে যে কোনও সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে।’
ঢাকায় ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের কোনও জঙ্গি ওইসব দেশে থাকলে তাকে গ্রেফতার করে খবর দেওয়া হবে। আর অন্য দেশের জঙ্গি বা মাদক ব্যবসায়ী আমাদের দেশে থাকলে তার সম্পর্কে তাদের জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারপোলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।'
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে কয়েকটি বড় অপারেশনের পর বাড়ির মালিকদের জবাবদিহির মধ্যে আনা হয়েছে। বাড়িওয়ালারা সতর্ক হওয়ায় জঙ্গিরা এখন ঢাকায় সুবিধা করতে না পেরে বাইরে আস্তানা করেছে। সেটাও পুলিশ ভেঙে দিবে। পুলিশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক জোরদার থাকায় জঙ্গিরা কোথাও নিরাপদে থাকতে পারছে না।’
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, আইজিপির সহধর্মিণী ‘নারী কল্যাণ সমিতি’র সভানেত্রী বেগম শামসুন্নাহার রহমান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইজিপি একেএম শহীদুল হক বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশের উদ্বোধন করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন, আইজিপি’র সহধর্মিনী বেগম শামসুন্নাহার রহমান।