তিনি অবৈধভাবে অতিথি পাখি শিকারে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজের টাইম লাইনে প্রকাশ করে নিজেই ফেঁসে গেছেন । এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়। এই প্রতিবাদে তিনি পাখি শিকারে ছবি সহ ষ্ট্যাটাস তার টাইমলাইন হতে সরিয়ে দিলেও অনেকে তা কপি করে রাখেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ডোমার উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে হাবিবুল ইসলাম ওরফে বাদশা আজিজের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটকের পর আজ সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিয়া সুলতানা এ ঘটনায় তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাংলাদেশের বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইনের ১৯৭৪ সালের ২৬/১(খ) ধারায় তাকে উক্ত জরিমানা করা হয়। উক্ত ব্যাক্তি ওই গ্রামের মৃত. আজিজুল ইসলামের ছেলে। জরিমানার টাকা তাৎক্ষনিকভাবে পরিশোধ করায় তাকে ভ্রাম্যমান আদালত ছেড়ে দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাবিবুল ইসলাম ওরফে বাদশা আজিজ শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে নিজ গ্রামে তার পুকুরে অতিথি পাখি এলে তিনি তার বৈধ বন্দুক দিয়ে গুলি করে অবৈধ ভাবে একটি পাখি শিকার করেন। এরপর পাখি শিকারের চিত্র মোবাইলে ধারন করে তিনি তা বীরদর্শনে জাহির করতে নিজেই তার ফেসবুকের টাইম লাইলে পোষ্ট করেন। ছবির ক্যাপসনে লিখেন “এই মাত্র আমার পুকুরে একটি বনোয়ার পাখি বন্দুক দিয়ে শিকার করলাম”।
তার এই ছবি ও ষ্ট্যাটাসে শুধু এলাকায় নয় পাথি প্রেমি মানুষজনের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠে। পাখি সংরক্ষনের স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘সেতুবন্ধন’ সহ অসংখ্য ব্যাক্তি ওই পোষ্টের নিচে পাখি শিকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে ৬১জন স্ট্যাটাস দেয়।
এ ঘটনায় ডোমার উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত অনুসন্ধ্যান চালিয়ে আজ সোমবার দুপুরে ওই ব্যাক্তিকে চিহিৃত করে আটক করে উক্ত জরিমানা সহ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে হাবিবুল ইসলাম ওরফে বাদশা আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, পাখি শিকার করা আমার ভুল হয়েছে। শিক্ষার শেষ নেই। তাই এই শিক্ষা আমাকে সচেতন হবার পথ দেখালো।