তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত কম। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য হারে কম। তবে দুপুর ১টার পর ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এই ভোট নিয়ে স্থানীয় ভোটার এবং প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তেমন কোন উৎসাহ ও উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ভোট কেন্দ্রের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও বিজিবি’র উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যহারে। এছাড়াও র্যাব, বিজিবি পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স এবং ম্যাজিষ্ট্রেটদের টহলদারি অব্যাহত ছিল।
সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ধোপাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮শ’ ৮৩ জন হলেও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৪টি বুথে ভোট দিয়েছে মাত্র ৪৮ জন। সকাল ১০টায় উত্তর শাহবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ২শ’ ৫৫ জন ভোটারের মধ্যে ৯ বুথে ভোটদান করেন মাত্র ৭শ’ ৭৯ জন। কিশামত হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১১টায় ৩ হাজার ৪শ’ ৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোটদান করেন মাত্র ২শ’ ১০ জন। এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও প্রায় একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ভোটার ভোটদান করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ওই আসনের নিহত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি উত্তর শাহবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটদান করেন। ভোটদান শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু তার স্বামী এবং তিনি আওয়ামী লীগের একনিষ্ট দলীয় কর্মী সেজন্য দল এবং নিহত এমপি’র প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি ভোট দিতে এসেছেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লিটনের খুনিরা গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি এই খুনের সাথে জড়িত সকল খুনি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতাকারিদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।