রাতের এই ঘটনায় পুলিশ উক্ত প্রভাষককে আটক করে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, প্রভাবশালীরা ওই প্রভাষকের প্রথম স্ত্রীর উপর প্রভাবখাটিয়ে ঘটনাটি দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সমাধান করলেও প্রথম স্ত্রীর হাতে মাত্র ৭৫ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা পরিশোধের সময় নিয়েছে। প্রথম স্ত্রীর পরিবার অসহায় বিধায় তারা এর প্রতিবাদ করতে পারছে না।
এ ঘটনায় খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী উক্ত প্রভাষকের বিচার ও কলেজ হতে চাকরিচ্যুতের দাবি করেছে। এই দাবির প্রেক্ষিতে গহরপুর বিএমআই কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ উক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
জানা যায়, উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামের মৃত. ফজলুল হকের মেয়েকে ২০১৩সালে গহরপুর বিএমআই কলেজে পড়ার সময় উক্ত কলেজের প্রভাষক আহসান হাবীব প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েটিকে বিয়ে করে। এরপর দীর্ঘদিন নীলফামারী শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।
এরপর ২০১৫ সালে ওই প্রভাষক মোবাইলে প্রেমের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে করে রাজশাহীর একটি মেয়েকে। ওই মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে নিজবাড়িতে নিয়ে আসলেও প্রথম স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে প্রভাষক। এ অবস্থায় ঘটনার দিন গতকাল সোমবার(২৭ মার্চ) রাতে ওই প্রভাষক গোপনে প্রথম স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করার চেস্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গনধলাই দিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই প্রভাষককে আটক করে থানায় নিয়ে এসে হাজতখানায় আটকিয়ে রাখে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রভাশালীরা চাপ প্রয়োগ করে উক্ত টাকার বিনিময়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছদ ঘটিয়ে আটক প্রভাষককে থানা হতে ছাড়িয়ে নেয়।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওই প্রভাষকের প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রী পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে তারা তাদের লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে প্রভাষককে ছেড়ে দেয়া হয়।