আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

কিশোরীগঞ্জের বিভিন্ন কলেজে এইচএসসির প্রবেশপত্র সরবরাহে অতিরিক্ত টাকা আদায়

শনিবার, ১ এপ্রিল ২০১৭, দুপুর ০৪:৩১

টাকা করে আদায় করছে। টাকা না দিলে প্রবেশপত্র আটকিয়ে রাখে। আগামীকাল রবিবার (২ এপ্রিল) হতে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার আগের দিন আজ শনিবার (১ এপ্রিল) পরীক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের এই দাবি মাথা পেতে নিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে। জানা যায়, কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার বিভিন্ন শাখার ২৩৭ জন, কিশোরীগঞ্জ মহিলা কলেজ ১০০ জন, ও রনচন্ডি ডিগ্রি কলেজে ৩৪১জন পরীক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্চে। আগামীকাল রবিবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী কামরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, প্রবেশপত্র নিতে কোনো টাকা লাগার কথা নয়। কেন্দ্র খরচের টাকা ফরম পূরণের সময় দেয়া হয়েছে। সে সময় কলেজ কর্তৃপ বলেছিল প্রবেশপত্র নিতে কোনো টাকা লাগবে না। কিন্তু এখন প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছে এক প্রকার জোড়পূর্বক। টাকা কম দিলে অফিস সহকারী প্রবেশপত্র আটকিয়ে রাখে। পরে বাধ্য হয়ে তাদের দাবি কৃত টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র উত্তোলন করেছি। এমন অনেক ছাত্র আছে তারাও টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র নিতে বাধ্য হয়েছে। মানবিক শাখার পরীক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, আমি একজন গরিব ছাত্র। কলেজের দাবি ৪০০ টাকা। আমি ধারদেনা করে ২০০ টাকা নিয়ে কলেজে প্রবেশপত্র নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। এরপর আমি প্রিন্সিপাল স্যারকে বলেছি তিনিও ৪০০ টাকা না হলে প্রবেশপত্র দেয়া যাবে না বলে সাফ জানান। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। তবে এই গরীব ছাত্রের প্রবেশপত্র উত্তোলনে জনৈক ব্যাক্তি বাকী ২০০ টাকা তাকে প্রদান করলে সে প্রবেশ পত্র উত্তোলন করে। এ রকম অনেক পরীক্ষার্থী সোহেল রানা, আজাহারুল ইসলাম, নাঈম আলী, আবুল হোসেন ও বাবলু আহম্মেদসহ অনেকে বলেন ফর্ম ফিলাপের সময় সব টাকা নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এখন ফের প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে টাকা নিচ্ছে। অভিভাবকরা এই কলেজের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্যদের অনিয়ম দুর্নীতির বিচার দাবি করেছে। কিশোরীগঞ্জ মহিলা কলেজেও একই অবস্থা। এখানে ৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে ছাত্রীরা জানায়। রনচন্ডি স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষার্থীরা জানায় প্রবেশপত্রের জন্য ৪০০ টাকা করে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র ও মালামাল নিয়ে আসার খরচ বাবদ কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন নিয়ম অনিয়ম বুঝে কি হবে। কিশোরীগঞ্জ মহিলা কলেজে গেলে সেখানে অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে তার রুমে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকরা তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রনচন্ডি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান বিষয়টি তার জানা নেই। অফিস সহকারি এটি করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সহ পরীক্ষার্থীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied