আলিম পরীক্ষা চলাকালীন ব্লাক বোর্ডে উত্তর লিখে দেয়ায় সহযোগীতা করার অপরাধে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে দুইজন শিক্ষককে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমান করেছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কেশবা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে (কেন্দ্র কোড ৩৯৫) এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক দুইজনরে মধ্যে কিশোরীগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ৭ হাজার টাকা ও বড়ভিটা এ ইউ ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক আনোয়ার হোসেনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। শিক্ষকরা তাৎক্ষনিক অর্থ জমা দেয়ায় ছাড়া পান। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উত্তম কুমার রায়।
অভিযোগ মতে আজ সোমবার আলিম পরীক্ষার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাচালিন ওই দুই শিক্ষক কক্ষের ব্লাড বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর লিখে দেয়। খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার রায় ওই দুই শিক্ষককে হাতে নাতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উক্ত জরিমানা আদায় করেন। পাশাপাশি ওই শিক্ষক দুইজন কে বহিস্কার করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত শিক শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তারা দুইজন ওই কক্ষে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছি। উক্ত কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাহ ও হল সুপার জালাল হোসেনের সহযোগিতায় কেন্দ্রের ভিতরে হঠাৎ করে বড়ভিটা এ, ইউ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্য অহিদুল ইসলাম, মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী ইংরেজি শিক সাইদুল ইসলাম পরীা কেন্দ্রের ওই কে প্রবেশ করে ব্লাাক বোর্ডে উত্তর লিখে দিয়ে চলে যায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাহ ধমক দেয়। এখন যারা অপরাধের জরিত তাদের বিচার করা হোক বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন ঘটনার সময় আমি জরুরী কাজে কেন্দ্রের বাহিরে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. মেহেদী হাসান বলেন ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে অপরাপর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।