আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কালীগঞ্জ বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে কৃষক ও পরীক্ষার্থীরা দু’চিন্তায়

সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭, রাত ১১:৫৭

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ক্ষোভের সাথে কথা গুলো বলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃষক জব্বার মিয়া । একই প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝরে কয়ক কৃষকরা বলেন, ১০/১৫ দিন ধরে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। অথচ এখনও বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা শুরুই হয়নি। শুধু সেচনির্ভর কৃষকরাই নয়,‘ ব্যবসায়ীরাও ভেঙ্গে পড়েছেন। ভেঙ্গে পড়েছেন কালীগঞ্জ হাসপাতালটি। ভয়াবহ গরমে রোগীরা ভিড় করছে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে। এমন ভোগান্তির কি উপায় তা ভেবে পাচ্ছে না কেউ। গত কয়কদিনে দেখা গেছে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতিষ্ঠ ভ্যাপসা গরমে নারী-শিশুসহ ও বৃদ্ধ রোগীরা ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২০ জনের মত। তবে ভ্যাপসা গরমে কারণে ডাইরিয়া রোগীর সংখ্যা তূলনামূলক বেশি। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক মেডিকেল অফিসার আহ্সান হাবিব এ তথ্য সতত্যা নিশ্চত করেন।

গত ১০/১৫দিন থেকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আর থাকে ১০ মিনিটি। বিদ্যুৎতের চাহিদা দিনের বেলায় সবচেয়ে বেশি থাকে। প্রচন্ড গরম ও অফিস তো আছেই । দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আর রাতের বেলা বেশি চাহিদা থাকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এ দুই সময়কে বিদ্যুতের পিক আওয়ার বা সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ধরা হয়। কিন্তু ওই সময় বন্ধু থাকে বিদ্যুৎ। বর্তমানে চলছে এইচ এস সি ও দাখিল পরীক্ষা।

পরীক্ষার্থীরা বলছেন, রাতেই বেলা পড়াশুনা করতে পারি না, যখন পড়তে বসি তখন চলে যায় বিদ্যুৎ। মোমবাতি দিয়ে আর কতক্ষন পড়া যায়। বিদ্যুতের কারণে আমাদের ফলাফল খারাপ হতে পারে।

শিক্ষার্থী ও কৃষকরা বলছেন, কালীগঞ্জ এলাকায় লোডশেডিং সবচেয়ে বেশি। কারণ সঞ্চালন লাইনের ওভারলোড ও নাজুক অবস্থা কারণে সঞ্চালনব্যবস্থায় বিঘন্ন ঘটাচ্ছে। একবার ৩৩ কেভির সঞ্চালন লাইন নষ্ট হলে মেরামত করার কথা তারা ভুলে যান। অথচ এ এলাকায় গত ছয় বছরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষকরা বলেন, প্রতিবারেই পরীক্ষা চলাকালিন বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু করে। বাচ্চারা যদি মনোযোগি হয় পড়তে শুরু করে আর ওই সময় লোডশেডিং দেয় তবে তাদের মনযোগ পড়াশূনাতে নষ্ট হবে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগকে এ বিষয় নজরে ন্যায়া উচিৎ। পিডিবির কালীগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, গ্রিড সাবস্টেশন থেকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ পিডিবি ১৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ৩/৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যায়। এতে সব সময়ই ওই সব এলাকার অর্ধেক কিংবা অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ২৪ ঘণ্টাই লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকে। পিডিবি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আরো জানা গেছে, পিডিবি গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার । এই বিপুল পরিমাণ গ্রাহকের চাহিদা মেটানো এখনই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমন ধারণের লোডশেডিং হলে হুমকির মুখে পড়বে এই উপজেলার সেচনির্ভর বোরো আবাদের কৃষকরা।

কালীগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর দেওয়া তথ্য মতে, প্রতিদিন ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে এ উপজেলায়। চাহিদার অনুযায়ী দিতে পারছে না কালীগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এদিকে বেশ কয়কজন পিডিবির কর্মচারীরা বলছেন, উৎপাদনে কোনো সংকট নেই, লোডশেডিংও নেই। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না বা চলে যাচ্ছে, তা হচ্ছে মূলত সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিনই লোডশেডিং বাড়ছে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে দেড় ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসে। উপজেলায় এই অবস্থা, গ্রামের অবস্থা জানি কেমন। তার মতে প্রতিদিন পেপার-পত্রিকায় দেখি কেবল বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ছে। তাহলে কালীগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি হয় না কেন?।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কালীগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত)নাজমুল খন্দকার জানান, সেচনির্ভর বোরো আবাদে সহায়তা দিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি দিতে সব সময় চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলা থেকে আসা ৩৩ কেভি ঝড় বা তারের সাথে বাঁশ বা অন্য কিছু লেগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পুরো লাইনেরই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied