এব্যাপারে রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার পহেলা বৈশাখ রৌমারী উপজেলার বাইটকামারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাইটকামারী গ্রামের মহি লালের স্ত্রী সুমতি রানীর পালিত একটি ষাড় গরু জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পাশের বাড়ির হবি মিয়া পাঁচ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে স্থানীয় কসাই নবীন ও আবু বক্করের কাছে বিক্রি করে দেয়। কসাই দু’জন তাৎক্ষণিকভাবে ওই বাড়িতেই গরুর চামড়া ছিলে মাংস তৈরী করে। পর দিন পহেলা বৈশাখ বাইটকামারী মোড়ে প্রতি কেজি মাংস ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করে দেয়।
এদিকে সুমতি রানীর ষাড়টি মারা যাওয়ার খবরটি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কোথায় তা পুঁতে রেখেছে স্থানীয় লোকজন তা খুঁজতে থাকে। খুঁজে না পেয়ে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের দানা বাধে। ওই গ্রামের ইমাম নুরুন্নবীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি গরুটি জবাই করেননি বলে জানান। পরে এলাকার লোকজন গরুর মালিক সুমতি রানীকে জিজ্ঞেস করলে তার গরুটি মারা গেছে এবং হবি মিয়ার কাছে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাংস ক্রেতাদের পরিবারের লোকজনদের মধ্যে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ওই দুই কসাইকে আটক করার জন্য চেষ্টা চলিয়ে ব্যর্থ হয় গ্রামবাসী। পরে উত্তেজিত জনতা শনিবার কসাইয়ের চকিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পর দিন শনিবার সকালে মামুনুর রশিদ নামে এক গ্রামবাসী বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
বন্দবেড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের বলেন, মরা গরুর মাংস খাওয়ার কথা প্রকাশ পেলে প্রতি মূহুর্তে ডায়রীয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গুরুতর আক্রান্তদের রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি (তদন্ত) রুহানী পিপিএম মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।