আর্কাইভ  বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ● ৪ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর –রংপুরে স্পীকার       রংপুরে বৃষ্টি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার       কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       

 width=
 

বোদা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেও নির্বাচন হয়নি

মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭, দুপুর ০৩:৩১

দফায় দফায় সীমানা সংক্রান্ত মামলা হওয়ায় দীর্ঘদিনও নির্বাচন হচ্ছে না এই পৌরসভায়। কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে প্রশ্ন এখন পৌরবাসীর মুখেমুখে। আদৌ নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা উপজেলা নির্বাচন অফিসও এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছে না। সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে দায়ের করা মামলা মকদ্দমায় বার বার বাতিল হয়ে যাচ্ছে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল। এ জন্য সব ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। যেন উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট এ কথাই জানিয়ে দিচ্ছে এক বছর আগে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সুবিশাল পৌরভবন।

বরাদ্দ আসছে, কাজ চলছে, কর আদায় হচ্ছে, ইজারা কার্যক্রম চলছে, প্রতিবছর বাজেট প্রনয়ন ও ঘোষনা করা হচ্ছে, রাস্তা ঘাট নির্মান ও সংস্কার কাজ সবই চলছে পৌর প্রশাসকের মাধ্যমে।

আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে গোটা পৌর প্রশাসন। আমলাতান্তিক জটিলতা, লাল ফিতার দৌরত্বে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। নাগরিক সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন পত্র ও গরু মহিষ বিক্রির প্রত্যয়ন পত্র, রাস্তাঘাট নির্মান ও বৈদ্যতিক বাতি বরাদ্দে পক্ষপাতিত্ব সহ সকল বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায় এবং হয়রানীর সীমাহিন দৌরাত্ব পৌরবাসীদের অসহায় করে তুলেছে। অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন ও পয়নিষ্কাষন প্রনালী নির্মান, রাস্তা পাকা করণে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারন করে চৌর্যবৃত্তি, অযোগ্য নির্মাণ কৌশল প্রয়োগের কারণে অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাকা রাস্তা ঘাট। অপচয় হচ্ছে পৌরসভার বিপুল পরিমাণ অর্থ।

২০০১ সালে বোদা উপজেলার বোদা ও চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের অংশ বিশেষ এবং আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের সাতখামার ও কুড়–লিয়া মৌজা নিয়ে বোদা পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু শুরুতে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২০০১ সালে বলরামপুর ইউনিয়নের সাতখামার ও কুড়–লিয়া মৌজাকে বাদ দেয়ার জন্য জনৈক আজিজার রহমান মহামান্য হাইকোটে রিট পিটিশন দাখিল করেন উক্ত রিটপিটিশনটি ২০০৩ সালে রুল ডিসচার্জ করে রায় প্রদান করা হয়। তৎকালীন ওই এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পীকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালে সাতখামার ও কুড়–লিয়া মৌজা দুটি বাদ দিয়ে বোদা পৌরসভার সীমানা সংকুচিত করে। মৌজা দুটি বাদ দিয়ে ওয়ার্ড বিবক্তিকরন চুড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং বোদা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষনা করা হয়। কিন্তু আপত্তি থেকেই যায়। ২০০৫ সালে জনৈক আহসান হাবীর সাতখামার ও কুড়–লিয়া মৌজা দুটিকে বাদ দিয়ে কেন নির্বাচন করা হবে এই মর্মে মহামন্য হাইকোর্টে রিটপিটিশন দাখিল করেন উক্ত রিট পিটিশনটি রুল ডিসচার্জ করে ২০০৭ সালে রায় প্রদান করা হয়।

২০১০ সালে বলরামপুর ইউনিয়নের সাতখামার ও কুড়লিয়া মৌজা দুটিকে পুনরায় অন্তভূক্ত করে বোদা পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারিত করা হয়। ২০১১ সালে বলরামপুর ইউনিয়নের সাতখামার ও কুড়–লিয়া মৌজাকে বাদ দেয়ার জন্য জনৈক হাইতুন নবী, ইসমাইল ও নুরনবী পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ফলে বোদা পৌরসভার নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পরে। এ আমলাতান্ত্রিকতা টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে বোদা পৌরসভার সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা জিয়ে রাখার প্রবনতা প্রায়ই লক্ষ্য করা গেছে। মামলা মকদ্দমার পক্ষ বিপক্ষ সৃষ্টির সু-নিপুন কৌশলের কাছে বারবার মার খাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ হচ্ছেনা পৌর নির্বাচন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিজয় কুমার বর্মন জানান, ইতিমধ্যেই সকল মামলা খারিজ হওয়ায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নির্বাচনের প্রস্ততি সরুপ ওয়ার্ড বিভক্তি সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied