তবে দুটি কারণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত তার বিরুদ্ধে অতিসম্প্রতি শিক্ষকসহ ১১৮টি নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে ইউজিসি তদন্ত করার পর তা এখনও উপস্থাপন না করায় দুটো কারণে নতুন করে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেখানেও তার চাকরির মেয়াদ এ বছরের মধ্যে শেষ হবে। কারণ তার সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল। সে ক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবেও তিনি অবসরে যাবার তার সময় হয়েছে। ফলে উপাচার্য হিসেবে আবার নিয়োগ না পেলে আবার নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে ফিরে যাবার সময় অনেকটাই কম। সে কারণে উপাচার্য হিসেবে আবার ৪ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ লাভের জন্য চলছে জোর লবিং।
এ ক্ষেত্রে উপাচার্য নিজে আশাবাদী তাকে নাকি আবার ৪ বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এটা নাকি নিশ্চিত বিষয়টি তিনি নিজেই প্রচার করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে যে সব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত হয়েছে সে কারণে তাকে পুনরায় নিয়োগ দেবার সম্ভাবনা কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিকে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় ইউজিসির এক সদস্যসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক উপাচার্য পদে নিয়োগ পাবার জন্য জোর লবিং শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।