আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

দুই নেত্রীর মামলার কাগজপত্র তৈরি ছিল 'আগেই'

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭, সকাল ০৮:৫১

বিবিসি বাংলার সাপ্তাহিক আয়োজন 'এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার' অনুষ্ঠানে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এসব কথা বলেছেন।

ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই প্রভাবশালী উপদেষ্টা আরও বলেন, তৎকালীন সামরিক কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের 'শিক্ষা' দিতে চেয়েছিলেন।

মইনুল হোসেন বলেন, 'একটা জিনিস আমি এখন বলতেছি আপনাকে- সেটা আপনি ভেরিফাই (যাচাই) করেন সাংবাদিক হিসেবে, দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে, এ মামলাগুলোর কাগজপত্র আগে থেকেই তৈরি ছিল। নাইনটি-নাইন পার্সেন্ট।'

'একটা হয়তো হইতে পারে... একমাত্র ওই যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাস্টের একটা ব্যাপার নিয়ে। ওইটা মনে হয় তারা নতুন করেছে.. সেটা ভিন্ন কথা' যোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওই সময় দুর্নীতির অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তৎকালীন সেনা কর্মকর্তাদের মনোভাব উল্লেখ করে মইনুল হোসেন বলেন, 'তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিতে চেয়েছিলেন। তাদের (সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের) একটা বক্তব্য ছিল- ব্যারিস্টার সাহেব, আমরা তো বেশিদিন থাকব না, কিন্তু একটা শিক্ষা দেয়া উচিত যে, নো বডি ইজ অ্যাভাব ল (কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়)- সে প্রাইম মিনিস্টার হোক আর প্রেসিডেন্ট হোক। সে হিসেবে তাদের একটা অ্যাটিটিউড কাজ করছে- এটা আমি অস্বীকার করব না।'

এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলো আদালত বাতিল করে দেয়। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে যে মামলা হয়েছিল, সেগুলো প্রত্যাহার করে নেন মামলার বাদীরা।

তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো এখন চলছে।

মইনুল হোসেন জানান, সেই সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যারা উপদেষ্টা ছিলেন তারা 'গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার' লক্ষ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রতি মনোনিবেশ করেছিলেন। কিন্তু সেনা কর্মকর্তারা কথিত দুর্নীতির বিষয়ে বেশি মনোনিবেশ করেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, একটা ধারণা রয়েছে- খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাদের গ্রেফতারের পেছনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

এক বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০০৮ সালে উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মইনুল হোসেন। রাজনৈতিক মহলে তখন গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল যে, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মইনুল হোসেন বলেন, এ ধরনের ধারণা সত্য নয়। দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তিনি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন।

তৎকালীন প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা বলেন, 'যেহেতু আমি সে সময় রাজনীতি নিয়ে কথা বলতাম... তারা (রাজনীতিবিদরা) মনে করেছে- যেহেতু দুর্নীতির মামলা হচ্ছে, সেটা ব্যারিস্টার সাহেব করতেছে। আই ওয়াজ সিরিয়াসলি মিসআন্ডারস্টুড (আমাকে সাংঘাতিক রকম ভুল বোঝা হয়েছিল)। আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল।'

উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্য সামরিক বাহিনীর পুরো সহায়তা পেয়েছিলেন বলে জানান মইনুল হোসেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied