আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ফেলানীর বাবা-মায়ের নিরন্তর প্রতিক্ষা

সোমবার, ৫ আগস্ট ২০১৩, সকাল ০৮:৫২

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বনফুল ও জঙ্গলে ছেয়ে যাওয়া প্রিয় সন্তানের কবরের পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে বাবা নুর ইসলাম ও মা জাহানারা আনমনে কি যেন খুঁজছেন। কিছুক্ষণ পর বিরবির করে তার মা বলছেন, আল্লাহ আমগোর মাইয়্যারে যারা পক্ষির মত গুলি কইরা মারছে, তাগে তুমি শাস্তি দিয়ো। কাছে যেতেই আবেগ আপ্লুত বাবা-মা বলেন, অহনো তারে স্বপ্নে পাই। জাইগ্যা উঠলে বুকটা খালি লাগে। বুক ফাইটা হু হু কইর‌্যা কান্না আহে। যারা মেয়াটাকে মাইরা ফেলাইছে তাগোর দ্যাশে ১৩ তারিখ থাইক্যা বিচার শুরু হইব। আল্লায় জানে মেয়া হত্যার সুষ্টু বিচার পামু কিনা।’

উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭নং আন্তর্জাতিক পিলার ৩নং সাব পিলারের পাশ দিয়ে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মই বেয়ে বাবা নুর ইসলাম কাটা তার পাড়ি দিতে পারলেও মেয়ের গায়ের সুয়েটার আটকে যায় কাটাতারে। কিশোরী ফেলানী ভয়ে চিৎকার করলে টহলরত বিএসএফ তাকে গুলি করে। হতভাগিনী ফেলানীর বউ হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। প্রাণ হারায় সে। বুকে তীর বিদ্ধ পাখির মত ঝুলতে থাকে। প্রায় ৬ ঘন্টা কাটাতারের সাথে ঝুলে থাকে ফেলানীর লাশ। পরে বিএসএফ সেখান থেকে লাশ নামিয়ে ভারতের কুচবিহারে নিয়ে যায়। একদিন পর ৮ জানুয়ারী ১২টার সময় বর্ডার গার্ড, পুলিশ প্রশাসন এবং বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে ফেলানীর Felaniলাশ বাংলাদেশের ফুলবাড়ীর থানা পুলিশ ও বর্ডার গার্ডের হাতে তুলে দেয়। ৯ জানুয়ারী লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে ভারত সরকার ফেলানী হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করে।

ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ফেলানীর কবর জেয়ারত শেষে পিতা নুর ইসলামের হাতে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। ৭ মার্চ ফেলানীর বাড়ীতে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। আজও সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক কোন বাংলাদেশী নিহত হলে সবার আগে উঠে আসে ফেলানীর কথা।

আলোচিত ফেলানী হত্যার স্বাক্ষী দিতে বাংলাদেশ থেকে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, মামা আ: হানিফ, কুড়িগ্রাম জেলা জর্জ কোর্ট পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লে.কর্ণেল জিয়াউল হক খালেদ ১৮ আগস্ট লালমনিরহাট বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে ভারতের কুচবিহারে যাবেন। সেখানে কোচবিহার বিএসএফ বিশেষ আদালতে এ হত্যাকান্ডের বিচার অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লে.কর্ণেল জিয়াউল হক খালেদ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied