বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী জেলা ও মহানগরের আয়োজেন অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সংবিধানের বাইরে কিছু করা যাবে না। যদি করা হয় তাহলে মানা হবে না। ওইটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সংবিধানে মধ্যে ৩০ লাখ শহীদ আছে, মুক্তিযুদ্ধ আছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থি রাজাকারদের জায়গা হবে না। এটাই ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে দেখতে চাই।
তিনি আরো বলেন, এখন জাতির মধ্যে নতুন এক বির্তক শুরু হয়েছে। ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে বিতর্ক। ভাস্কর্য হলে ভাঙা যাবে না আর মূর্তি হলেই ভাঙা যাবে? তাহলে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার কী হবে? যারা মূর্তি পূজা করে তারা কি এই দেশে আর পূজা করতে পারবে না?’
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘আপনি মন্ত্রী হোন আর যেই হোন না কেন, যারা এ নিয়ে বির্তক করছেন তারা রাজাকারদের হাতকেই শক্তিশালী করছেন।’
তিনি বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধূলিসাৎ করতে পাঠ্যবইয়ে সংশোধনী আনা হচ্ছে, কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। একমূখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
শনিবার বিকেলে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সা¤্রাজ্যবাদ, ঘুষ-দুর্নীতি, বৈষম্য-রুখে দাঁড়াও, সমাজ বদলের রাজনীতি এগিয়ে নাও শ্লোগান নিয়ে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি রাজশাহী মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমেদ বকুল, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ ইয়াসিন আলী, রাজশাহী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।