রোববার ভোরে শফিকুল ইসলাম (১৯) ও রাইস মিলের ব্যবস্থাপক রনজিত বসাক (৫০) মারা যান। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক নারীসহ ৬ জনে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১১ জন। এদের বেশিরভাগই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, 'দিনাজপুরের বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীদের মধ্যে বুধবার রঞ্জিতা রানি রায় (৪০) ও মোকছেন আলী (৫০) নামে দুইজন মারা যান। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আরিফুল ইসলাম (৩০) ও শুক্রবার সকালে রোস্তম আলী (৪৫) নামে আরও দু'জন মারা যান। আজ (রোববার) ভোরে মৃত্যু হয়েছে শফিকুল ইসলাম (১৯) ও রনজিত বসাক (৫০) নামে দু'জনের।'
তিনি জানান, রনজিত বসাককে শনিবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
ড. মারুফুল বলেন, 'বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগের শরীর ৫০ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। তারা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাদের সুস্থ করে তুলতে।
আহত রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের শেখহাটি গোপালগঞ্জে যমুনা অটো রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণে কর্মরত ৩০ জন শ্রমিক আহত হন। বিস্ফোরণের পর পর দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের দু'টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ৩০ জনকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৭ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বয়লার বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ গজ দূরে মিলের মালামাল ছিটকে পড়ে। ঘটনার পর মিলের স্বত্বাধিকারী সুবল ঘোষকে পাওয়া যায়নি।