তবে খুব বেশি দিন স্থায়ী হলো না ক্রিকেটকে কুক্ষিগত করার এই পরিকল্পনা। টানা তিন বছর ধরে অনেক দর কষাকষির পর অবশেষে অবসান ঘটল তিন মোড়ল অধ্যায়ের। আজ দুবাইয়ে আইসিসির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্তি হলো তিন মোড়ল মডেল।
ক্রিকেটে যে এই তিন মোড়লের আধিপত্য বজায় রাখার ব্যবস্থা শেষপর্যন্ত থাকছে না, তা বোঝা গিয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতেই। বেশির ভাগ টেস্ট খেলুড়ে দেশই রাজি হয়েছিল এই কাঠামো ভেঙে নতুন সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে। এমনকি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও শেষপর্যন্ত সরে এসেছিল নিজেদের অবস্থান থেকে। ব্যতিক্রম ছিল শুধু ভারত। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য শেষপর্যন্ত তারা ওকালতি করে গেছে এই ‘তিন মোড়ল’ মডেলের পক্ষে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাসহ আরও কিছু দেশকে দলে ভেড়ানোর জোর চেষ্টাও চালিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনো প্রচেষ্টাই কাজে আসেনি। আইসিসির ভোটাভুটিতে মোটামুটি একঘরেই হয়ে গেছে ভারত। লভ্যাংশ ভাগাভাগির ভোটে আইসিসির নতুন প্রস্তাব পাস হয়েছে ১৩-১ ভোটের ব্যবধানে। বরাই বাহুল্য বিরোধিতাকারী একমাত্র ভোটটি ভারতের। আর নতুন সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারত পাশে পেয়েছে শুধু শ্রীলঙ্কাকে। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি। ১২-২ ভোটে জয়ী হওয়ায় এখন নতুন সংবিধানই লেখা হবে আইসিসিতে। যেখানে অনেকটাই কমে আসবে ভারতের ক্ষমতা।
আইসিসির নতুন এই কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বিসিসিআইয়েরই সাবেক সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই তিনি শুরু করেছিলেন এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। শেষপর্যন্ত সেটি সফল হওয়ায় উচ্ছাসও প্রকাশ করেছেন মনোহর। নতুন এই সংবিধানের ফলে পুরো বিশ্বে ক্রিকেটের আরো প্রচার-প্রসার ঘটবে বলেও আশাবাদী তিনি, ‘আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা ক্রিকেটের জন্য একটা শক্ত ভিত্তি গড়ে দিচ্ছি যেন ভবিষ্যতে এই খেলাটা আরো বিকশিত হয়।’