আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন বৈগ্রাম সড়কে এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, বড়পুকুরিয়া কর্তৃপক্ষ গত ৩ বছর আগে আমাদের এই এলাকার প্রায় ৬৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করেন। আমরা মনে করেছিলাম এরপর খনি এলাকার আর কোন মানুষ নতুন করে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। কিন্তু অধিগ্রহণের বাইরে আরও ১০টি গ্রাম চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ভয়াবহভাবে ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, স্কুল কলেজ, মসজিদ, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে ভূমি অধিগ্রহণকালে প্রতিটি পরিবার থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী দেবার কথা ছিলো। কিন্তু তাদেরকে চাকুরী দেওয়া হয়নি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ সোলায়মান সামি, মোঃ গোলাম মোস্তফা, আলহাজ¦ আবু সাঈদ, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোকলেছুর রহমান, মোঃ জাহিদুল ইসলাম (রতন), মোঃ সাকোয়াত হোসেন, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু, মোছাঃ নুরবানু ও শিউলী আক্তার বক্তব্য রাখেন। বক্তারা তাদের সংগঠনের ৬ দফা দাবী অবিলম্বে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন। অন্যথায় আগামীতে বৃহত্তর ও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
এ ব্যপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলহাজ¦ মোঃ হাবিব উদ্দিনের সাথে আজ শনিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এলাকায় রাস্তা নির্মানের টেন্ডার ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নির্নয়ের জন্য উচ্চপর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার বিষয়টি বোর্ড মিটিংয়ে পাশ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।