হয়তো ভাবছেন, এ আবার কেমন কথা? পিসিবি তো সফর বাতিল করেই দিয়েছে। পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খানের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের প্রচার মাধ্যম আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ সফরে যাবে না পাকিস্তান।
এর মানে জুলাইতে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের যে নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল, তা বাতিল। তাহলে আবার নতুন করে পাকিস্তানের বাংলাদেশে আসার কথা উঠছে কেন?
উঠছে এ কারণে যে, পিসিবি এখনো বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সফর বাতিলের কথা জানায়নি। যা শোনা যাচ্ছে, সেগুলো পত্র-পত্রিকা, টিভি এবং অনলাইনের খবরেই সীমাবদ্ধ।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়েছেন, পিসিবি প্রধান শাহরিয়ার খান তাকে সরাসরি কিংবা পাকিস্তানের বোর্ড থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে সফর বাতিলের কথা জানায়নি।
ভেতরের খবর হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও এখনো পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সফরের ব্যাপারে আশা ছাড়েনি। বিসিবি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের কথা শুনে মনে হলো, বিসিবি এখনো আশাবাদী।
আজ দুপুরে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি প্রধান নির্বাহী জানান, ‘আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে সফর সূচি পাঠানো হবে। যেখানে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে আর দুটি টি টোয়েন্টির কথা উল্লেখ থাকবে।’
বিসিবি প্রধান নির্বাহীর শেষ কথা, ‘আমরা পিসিবির ফিডব্যাকের (জবাবের) অপেক্ষায় থাকবো।’
তার মানে বিসিবি আশা করছে, সফর সূচি পাঠালে পাকিস্তান তো হ্যাঁ বা না- কিছু একটা বলবে। ঠিক তখন বিসিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করবে। পিসিবি সফর বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলে বিসিবি যথার্থ কারণ জানতে চাইবে তাদের কাছে।
ডবসিবি সভাপতি সে কথাও আগেই জানিয়ে রেখেছেন। তবে পিসিবি যেহেতু বিসিবিকে আজ পর্যন্তও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘না’ করে দেয়নি। তাই ধরে নেয়াই যায়, এখনো আরও অনেক কিছুই হতে পারে।
বোর্ডের সিইও যখন পিসিবির জবাবের অপেক্ষায় থাকার কথা বলেন, তখন বোঝা যায় বিসিবি এখনো মনে করছে, পাকিস্তান আসবে। অতীতে এমন নজির তো আছে।
এর আগে একবার নগদে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ডলার গুণে তবেই বাংলাদেশে খেলতে এসেছিল পাকিস্তানিরা। এবারও হয়তো তাই হবে!