বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসে অবস্থিত তার বাসভবনে পৌঁছে দেয়। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের কয়েকজন নেতাকর্মীরা। উপাচার্যকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এরশাদ আলী।
এসআই জানান, রাত ১টার দিকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে তার বাসভবনে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। অবরোধকারীদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তামান্না সিদ্দিকা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছিলেন।
বুধবার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের কয়েকজন নেতাকর্মী ও ৩০/৪০ জন সাবেক নেতা দুপুর ১২ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। তাদের দাবি বৃহস্পতিবার উপাচার্য চলে যাওয়ার আগেই চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এ নিয়ে তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা ছাত্রলীগের নামেও স্লোগান দিতে থাকেন।
ছাত্রলীগের নামে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘটনাকে অনেকে পাতানো নাটক বলে অবিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ‘যারা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনও সম্পর্ক নেই। তারপরও সেখানে ছাত্রলীগের কোনও নেতাকর্মী সেখানে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে উপাচার্যের কার্যালয় রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখার খবর বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি ছয়টি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি, আপ্যায়নের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয়সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৬ দুর্নীতির প্রমাণ বেরোবি’র ভিসির বিরুদ্ধে