নিহতরা হলেন- নগরীর সাধুরমোড় এলাকার সোলেমান আলীর ছেলে বিশাল হোসেন (২১) ও তার ভাগ্নে হাসিবুল ইসলাম হাসিব (১৯)। হাসিব নগরীর কুঠিপাড়া এলাকার টুটুল হোসেনের ছেলে। দুর্ঘটনার সময় হাসিব অটোরিকশা চালাচ্ছিল। আর বিশাল সেই অটোরিকশায় বসে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর নিহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। তাদের একজন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র রানা হামিদ। তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে তালাইমারী নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড়ে সড়কে দুটি ট্রাক দুই দিক থেকে যাচ্ছিল। ওই সময় শহর থেকে বের হচ্ছিল একটি অটোরিকশা।
অটোরিকশাটি দুটি ট্রাকের মধ্যে ঢুকে যায়। এতে দুই ট্রাকের চাপায় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করেন। আর তারা কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বিশাল ও হাসিবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান।
জরুরী বিভাগ থেকে তাদের হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ইসিজি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নিহত হাসিবের খালু আরিফ শেখ জানান, নিহত দু’জন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। ছোট বেলা থেকেই হাসিব তার নানা বাড়িতে থাকত। বছর দুয়েক আগে থেকে সে অটোরিকশা চালাতো। তার অটোরিকশাতে চড়েই মামা বিশাল যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলেও পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক দুটিকেও আটক করেছে। তবে চালক দু’জন পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।