বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী মাঠে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে দমে নেই বিএনপি। তারা মুখে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও তৃণমূল থেকে শুরু করে আসন্ন নির্বাচনের জন্য ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলো অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে নজর দিচ্ছে। নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৃণমূলে তীক্ষ্ম নজর রাখছেন দলীয়প্রধান থেকে শুরু করে দলের নীতিনির্ধারণী মহল। সব মিলিয়ে সবাই এখন নির্বাচনমুখী।
এদিকে ভোটের চিন্তা মাথায় রেখে মিত্র বাড়ানোর পথে হাঁটছে সব দলই। জোট ভাঙছে। আবার নতুন জোট হচ্ছে। নানা কারণে দীর্ঘদিন দূরে থাকা নেতাদের দলে টানা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ও সাফল্যের চিত্র তুলে ধরছেন, অন্যদিকে বিএনপির অপপ্রচারের জবাব দেওয়া শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসব প্রচারণা চলছে।
অন্যদিকে, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচনসহ রাজনীতির নানাদিক সংবলিত ‘ভিশন-২০৩০’ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনশ আসনে নয়শ প্রার্থী প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) নির্বাচনী মাঠে ক্রমেই সরব হচ্ছে। বিশেষ করে জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ৫৮ দলের সমন্বয়ে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’ নামে বিশাল এক জোট করেছেন। পাশাপাশি দুই বড় জোটভুক্ত ও জোটের বাইরে অন্য রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ১২৩(৩) ধারা অনুসারেও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা রয়েছে।