বুধবার(১৭ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলীপি প্রদান করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, গ্রামীণ হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনের শ্রমে বিড়ি উৎপাদিত হয়। পক্ষান্তরে শহরের যান্ত্রীক উপায়ে প্রস্তুত হয় সিগারেট। সেই গ্রামীন বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে সিগারেটের চেয়ে আনুপাতিক হারে বিড়ির কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিড়ির উপর কর বাড়লে বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। ‘দুই বছরের মধ্যে বিড়ি করতে চাই’- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে বিড়ি শ্রমিক ও আকিজ কোম্পানীর স্থানীয় প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি ও ব্যানারে এ দাবী জানান। স্মারক লিপিতে আরো দাবী করা হয়, দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও প্রতিবন্ধীদের হাতে বিড়ি তৈরি হয়। সেই হাতগুলো বেকার করার জন্য যুগ যুগ ধরে দেশি-বিদেশি সিগারেট কোম্পানীগুলো নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এসব শ্রমিকের স্বার্থে আসন্ন ২০১৭-২০১৮ সালের বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর কর আরোপ না করে বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়।
তাই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সিগারেটের সমপাতিক হারে কর আরোপ করার দাবিতে আকিজ, আবুল ও মতি বিড়ি ফ্যক্টরীর শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন।
আকিজ বিড়ি ফ্যক্টরীর শ্রমিক সহিদুল ইসলাম জানান, কর না বাড়িয়ে শ্রমিকদের মজুরী বাড়ানো হোক। তারা ভোর ৫টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে মজুরী পান মাত্র ১৮০/১৯০ টাকা। তবে বিড়ি ফ্যক্টরী বন্ধ করলে বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিও করেন তিনি।
আকিজ বিড়ি ফ্যক্টরীর সুপারভাইজার মোরশিদ আলম জানান, বিড়ির কর বাড়ালে ফ্যক্টরী বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কর্মসংস্থান ঠিক রাখতেই জেলা প্রশাসককে স্মারক লিপি দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘আমার অফিস ডাক ফাইলে এমন একটি স্বারকলিপি পেয়েছি।’