বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বগুড়ার জিয়াউর রহমান কলেজের সভাপতি নিয়োগ দেয়া ও না দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের কেউই মুখ খোলেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষাবোর্ডের এক কর্মচারী জানান, বগুড়ার জিয়াউর রহমান কলেজের সভাপতি নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই বিরোধ চলে আসছে। বুধবার বিকেল স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় তারা আজম খান নামে এক ব্যক্তিকে জিয়াউর রহমান কলেজের সভাপতি নিয়োগের দাবি জানান। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তা দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এদিকে ঘটনার পরে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অফিসের কাজে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ তরুন কুমার সরকার জানান, তিনি অন্য ভবনে ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টি পরে খোঁজ নিয়ে জানাবেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, তিনিও এ ধরনের সংবাদ পেয়েছেন। বিষয়টি জানতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে তাকে এবিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি।