একদিকে নির্ধারিত ক্লাস শেষে পরীক্ষার প্রহর গুনছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে উপাচার্য না থাকায় অনেক বিভাগের ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বেশ কিছু বিভাগ। এতে সেশনজট আরও দীর্ঘ হবে বলে শঙ্কা শিক্ষার্থীদের।
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশে কড়াকড়ি থাকলেও গত ৬ মে উপাচার্যের প্রস্থানের পর থেকে তাদের পদচারণা বেড়েছে। ফলে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকের ছড়াছড়ি ও অসামাজিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গোটা ক্যাম্পাসে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ^বিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডিতে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের অনেকেই দায়িত্ব পালন করছেন না।
জানা যায়, গত ১৮ ই মে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। এর আগে গত ১৫ মে এক মোবাইল চোরকে হাতেনাতে ধরে শিক্ষার্থীরা। এসব চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনার পরও নিরাপত্তা বিভাগ নিরব বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। কর্মকর্তারা নিজেদের ইচ্ছামত অফিসে আসা-যাওয়া করছেন। এতে প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় কোথায় কি হচ্ছে বলা মুশকিল। এখন চাঁদাবজি, চুরি হচ্ছে ভবিষ্যতে এর চেয়ে বড় কোন ঘটনাও তো ঘটতে পারে, তখন এই বিষয়গুলো সামলাবেন কে? এজন্য আমরা চাই, অতি শ্রীঘ্রই শিক্ষার্থীবান্ধব একজন উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি প্রক্টর শফিক আশরাফ বলেন, এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বড় ধরণের ঘটনা ঘটলে তা ব্যাক আপ (সমাধান) দিবে কে? কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো অভিভাবক নেই। সুতরাং নিরাপত্তার প্রয়োজনে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ প্রদান জরুরী।