রোববার দুপুরে লালমনিরহাট সরকারী কলেজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইমনসহ অন্তত ৭জন আহত হয়েছে।
কলেজ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জেলা ছাত্রলীগ কলেজ কমিটি নিয়ে দিধাদ্বন্দ চলে আসছিল। রোববার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক একটি খসরা কমিটি অধ্যক্ষের নিকট জমা দিতে যায়। ওই কমিটিতে কলেজ ছাত্রলীগের ত্যাগি কর্মীদের নাম না থাকায় রানু গ্রুপের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় রানু গ্রুপের কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেদম মারপিট করে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইমনসহ ৭জন আহত হয়। পরে সভাপতি ও সম্পাদকের পক্ষে শহর থেকে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী আসলে আবারও উভয় গ্রুপে সংঘর্ষ বাধে। এক সময় রানু গ্রুপের কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়ায় তারাও পালিয়ে যায়। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনায় কলেজ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,কলেজে বর্ধিত সভা চলাকালে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা রানুর নেতৃত্বে বহিরাগতরা হামলা চালালে ৭/৮জন আহত হয়।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, ঘটনার সাথে সাথে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। পরবর্তীতে যেন এ রকম ঘটনা না ঘটে এ জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
