রাত ভর অভিযান চালিয়ে আটককৃত পিক-আপ ভ্যানটিতে এক একটি বস্তাতে তল্লাসি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ২৮ বস্তা কাচাঁ মরিচ। এমন পুলিশের অভিযানে পুরো জেলায় হাস্যকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
সোমবার(২২ মে) রাতে যৌথ অভিযানে কাঁচা মরিচ বোঝাই একটি পিক-আপ ভ্যান আটক করে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী থানার পুলিশ।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, সোমবার রাতে নীলফামারী থেকে তিস্তা ব্যারাজ হয়ে লালমনিরহাটের বড়খাতা হাইওয়ে পুলিশ একটি পণ্য বোঝাই পিক-আপকে সিগন্যাল দেন। কিন্তু এ সিগন্যাল অমান্য করে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক হয়ে লালমনিরহাট অভিমুখে দ্রুত গতিতে পিক-আপটি পালিয়ে যায়। সিগন্যাল অতিক্রম করায় গাড়িটিতে অবৈধ পণ্যের চালান রয়েছে বলে ধারনা করা হয়েছিল।
কালীগঞ্জ থানার (ওসি) মকবুল হোসেন জানান, পিক-আপ ভ্যানটিতে অবৈধ পণ্যের চালান রয়েছে এ সন্দেহে আটক করতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের হাইওয়ে পুলিশকে জানায়। কিন্তু তা ভোটমারী সহ কালীগঞ্জের বেশ কয়কটি জায়গায় আটক করতে ব্যর্থ হই। যার ফলে আদিতমারী থানার পুলিশের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আটকের পর কাচাঁ মরিচ পাওয়া গেছে। চালকের কাগজ পত্র ছিলনা বলে সে দ্রুতগতিতে গাড়িটি চালায়।
ওসি আরও জানান, পিক-আপটি আটক করতে আদিতমারী থানা পুলিশ থানার গেটে বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আড়া আড়ি করে রেখে পথ রোধ করেন। সর্বশেষ ৪০/৪৫ কিঃমিঃ দুরে পথ না পেয়ে আদিতমারী থানার পাশে পিক-আপটি গর্তে ফেলে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী চালক।
দীর্ঘ অভিযান শেষে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী থানা পুলিশ যৌথ ভাবে পিক-আপটি তল্লাশি চালিয়ে ২৮ বস্তা কাঁচা মরিচ উদ্ধার করে। তল্লাশি শেষে অবৈধ পণ্য না পেয়ে পুলিশের ধারনা গাড়িটির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মামলা থেকে বাঁচতে এমন ভাবে পালিয়েছে চালক।
এদিকে কাচাঁ মরিচের মালিক আদিতমারী থানা থকে তার কাঁচা মরিচ নিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর(জিডি) প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায়।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, সিগনাল অমান্য করে বেপরোয়া গতিতে আসা গাড়ির চালক ও সহকারী চালককে খুঁজছে পুলিশ।