আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন থেকে দূরে থাকবে ভারত

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭, রাত ০৯:৩৮

তবে নির্বাচনে কোনো কারিগরি সহযোগিতা চাইলে ভারত সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।

শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো রাজনৈতিক বাস্তবতায় এদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই সম্পর্ক চায় ভারত। আর এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বার্থ সুরক্ষা। এটা অবশ্যই দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন-ডিকাব আয়োজিত 'ডিকাব টক' অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতের হাইকমিশনার তার দীর্ঘ বক্তব্যে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং তার বাইরে সমকালীন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে খোলামেলা মতবিনিময় করেন।

শ্রিংলা বলেন, তিস্তা চুক্তি কবে কীভাবে হবে সেটা বলতে পারছি না। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই চুক্তি হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে শুষ্ক মওসুমে তিস্তায় ১৮০০ কিউসেক পানি বাংলাদেশে আসছে। এই পরিমাণ পানি চুক্তির চেয়েও অনেক বেশি।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের পুনরুল্লেখ করে এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, শুধু নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার সরকারই তিস্তা সমস্যার সমাধান করতে পারে বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বিস্তৃত পরিসরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ছাড়িয়ে গেছে। আর এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার সম্ভাবনার কোনো সীমা নেই।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, গত দুই বছরে দুই দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৬০টি চুক্তি হয়েছে।

সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করার অভিযোগকে 'ভুল' বলেও অভিহিত করেন তিনি।

শ্রিংলা বলেন, এই ধরনের কোনো ইচ্ছা ভারতের নেই। শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্যে ভারত ঝাড়খন্ডে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। ভারত মনে করে, বাংলাদেশেও বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়া উচিত। তবে প্রকৃত বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উপযুক্ত জায়গার অভাব রয়েছে।

একপর্যায়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি ঢাকায় জায়গা দেয়, সেখানেও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতের কোনো আপত্তি নেই।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুধু ভৌগোলিকভাবে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে এমন নয়, বরং দুই দেশের রয়েছে অভিন্ন ইতিহাস, সভ্যতার বন্ধন। আমরা একই গঙ্গা সভ্যতার অধিবাসী। আমরা একই নদীর অভিন্ন স্রোতধারাকে শেয়ার করি।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি সমঝোতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সম্মত হয়েছি। সমুদ্রে বাংলাদেশ মহীসোপানও পেয়েছে। আমরা উভয়েই খুশি যে সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন ব্লু ইকোনমি ক্ষেত্রে আমরা একযোগে কাজ করব।

শ্রিংলা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলেরা বিপদগ্রস্ত হলে উভয় দেশের কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তর করছে। এসবই সম্ভব হয়েছে সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার কারণে।

ভারতে বাজার সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, এক সময়ে বাংলাদেশী পণ্যের জন্য ভারতের বাজার সুবিধা পাওয়াটা বিরাট একটা ইস্যু ছিল। এখন বাংলাদেশের সব পণ্য ভারতে যেতে পারছে। অশুল্ক বাণিজ্য বাধার কথা বলা হলেও সেগুলো কেউ সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, টিপাইমুখ নিয়ে খুব উদ্বেগ ছিল। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছে। সেখানে একটি ইটও বসানো হয়নি।

নদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নদীসংযোগ প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হবে না ভারত।

সীমান্ত হত্যার ইস্যুতে শ্রিংলা বলেন, ফেলানি নিহতের মতো দুঃখজনক ঘটনা সীমান্তে ঘটেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে বিএসএফ অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছে। সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালানোর মতো অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে। এখন বাংলাদেশ থেকে সবপণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ থাকায় পণ্যের চোরাচালান কমেছে। এখন গরু পাচার নিয়ে সমস্যা হয়।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সীমান্তে বছরে মৃতের সংখ্যা ২০ জনে নেমে এসেছে। সীমান্তরক্ষীরা যখন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখে তখন গুলি করে। আমাদের প্রচেষ্টা হলো- সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা। কেননা একটি মৃত্যুও অনেক বেশি কিছু।

অর্থনৈতিক সহযোগিতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এবং দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। এসব ঋণের শর্ত খুবই সহজ।

ট্রানজিটের উল্লেখ করে শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিনটি রেলসংযোগ হবে। এগুলো হলো, আখাউড়া-আগরতলা, ফেনী-বিলোনিয়া এবং পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি। নৌপ্রটোকল রুটের ড্রেজিং কাজে ভারত ৭৫ শতাংশ অর্থ দেবে আর বাংলাদেশ দেবে ২৫ শতাংশ। যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করবে।

বাংলাদেশীদের জন্যে ভারত ভিসা সহজ করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত এক বছরে ১৫ লাখ ভিসা দেয়া হয়েছে। ভিসার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চ্যালেঞ্জ থাকবেই। পুরনো চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি অপ্রত্যাশিতভাবে অনেক চ্যালেঞ্জ এসে যায়।

চার জাতির বিবিআইএন উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আপাতত বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল মোটরযান চুক্তি করবে। ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ অনুমোদনের পর ভুটান তাতে যোগ দেবে।

ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied