আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

মেয়েটির মরদেহ হিমঘরে আর কতদিন থাকবে?

বুধবার, ৩১ মে ২০১৭, দুপুর ০৪:৪৭

এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের হিমঘরে মেয়েটির মরদেহ সংরক্ষনে থাকায় প্রতিদিনের ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা করে বকেয়া পড়ছে। এ পর্যন্ত বুধবার (৩১ মে/২০১৭) হিমঘরের ভাড়া বাবদ এক হাজার ১৬৮দিনের বকেয়া বাবদ হয়েছে ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এই টাকাটি সরকারী কোষাগারে জমা হবার কথা। তবে আইনজীবীদের মতে মেয়েটির মরদেহ আদালতের রায়ে যে পাবেন তাকেই হিমঘরের ভাড়া পরিশোধ করে মরদেহ গ্রহন করতে হবে। হিম ঘরে যতদিন মরদেহ থাকবে ততদিন এর ভাড়া বেড়েই চলবে বলে জানানো হয়েছে।

মামলা ও ঘটনার বিবরনে জানা যায়, লিপা রানী রায় (২০) এর সঙ্গে একই উপজেলার ডোমার  বোড়াগাড়ি ইউনিয়ন পূর্ব বোড়াগাড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে হুমাউন ফরিদ লাইজু ইসলামের(২৩) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তারা ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর পালিয়ে যায়। এরপর লিপা রানী রায় ইসলাম ধর্ম গ্রহনপূর্বক মোছাঃ হোসনে আরা ইসলাম নাম ধারন করে এবং নীলফামারী নোটারি পাবলিক ক্লাবের মাধ্যমে এভিডেভিটে  দুই লাখ ১ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে হুমাউন ফরিদ লাইজু ইসলাম কে বিয়ে করে। এরপর তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করে আসছিল। এ অবস্থায় মেয়েটির পিতা অক্ষয় কুমার রায় ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর বাদী হয়ে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি অপহরন মামলা  দায়ের করে।  মামলার পর মেয়ে ও ছেলে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে সকল কাগজপত্র সহ আদালতে হাজির হয়ে জবান বন্দি প্রদান করে। ফলে আদালত সার্বিক বিবেচনায় অপহরন মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর মেয়ের বাবা মামলার খারিজ আপিলে তার মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়স্কো ও মস্তিস্কো বিকৃতি (পাগল) দাবি করে আদালতে কাগজ পত্র দাখিল করে।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মেয়েটিকে  শারিরিক পরীক্ষার জন্য  রাজশাহী সেফ হোমে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় মেয়েটি সেখানে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের  ১৫ জানুয়ারী মেয়েটির স্বামী হুমায়ূন ফরিদ ওরফে লাইজু ইসলাম বিষপান করে আত্নহত্যা  করে। এরপর মেয়েটির স্বামী হুমায়ূন ফরিদ লাইজু ইসলাম আত্নহত্যা  করার বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করে মেয়ের বাবা  মেয়েকে তার জিম্মায় নিতে আদালতে আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করলে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারী মেয়েকে নিয়ে  বাবা তার বাড়িতে নিয়ে নিজ জিম্মায় রাখেন। তবে মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়স্কো ও মস্তিস্কো বিকৃতি (পাগল) দাবি করে আদালতে দায়ের করা মেয়ের বাবার মামলটি চলমান ছিল।

এ অবস্থায় মেয়েটি ২০১৪ সালের ১০ মার্চ দুপুরে বাবার  বাড়ীর নিজ শোয়ার ঘরে সবার অগোচরে কীটনাশক পান করে। তাকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎষাধীন অবস্থায় ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে মারা যায়। ডোমার থানা পুলিশ হাসপাতাল হতে মেয়েটির মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে। এরপরের দিন  ১১মার্চ/২০১৪ নীলফামারী জেলার মর্গে মেয়েটির মরদেহ ময়না তদন্ত করা হয়। ওই দিন পুত্রবধু দাবী করে মেয়েটির শ্বশুড় জহুরুল ইসলাম- ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনে ও মেয়েটির বাবা অক্ষয় কুমার রায় হিন্দু শাস্ত্রে সৎকারের জন্য তাৎনিকভাব নীলফামারী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করে। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) এর আদালতে উভয়পক্ষের শুনানী চলে ওই দিনসন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত।

মেয়ের বাবার পক্ষের  আইনজীবী এ্যাডঃ অসিত কুমার ধর জানান ওই শুনানীতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিষয়টি  ডোমার থানা পুলিশকে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ প্রদান করেছিল।

এ ব্যাপারে ডোমার থানার তৎকালিক ওসি (তদন্ত) আইউব আলী মেয়ে ও ছেলে পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সমাধান পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু উভয় পক্ষ নিজেদের অবস্থানে অটুট থাকায় ডোমার থানা পুলিশ আদালতে ১২ মার্চ/২০১৪ একটি প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত মেয়েটির মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংরক্ষনের আদেশ প্রদান করে। ফলে সেই হতে মেয়েটির মরদেহ সেখানে রাখা হয়।

আজ বুধবার নীলফামারী জেলা জজ আদালতের পিপি অক্ষয় কুমার রায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা উভয়পক্ষকে ডেকে এটি সমাধানে মেয়েটির মরদেহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করার প্রস্তাব করি।  কিন্তু উভয়পক্ষ এতে রাজি হয়ননি। ফলে মেয়েটির মরদেহের দাবির মামলায় মেয়েটির শ্বশুড়ের পক্ষে গেলে মেয়ের বাবা তা সাব-জজ আদালতে আপিল করেন। সেখানে ছেলের বাবা জহুরুল ইসলাম হেরে যান। এরপর মেয়েটির শ্বশুড় জহুরুল ইসলাম ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারধীন রয়েছে। ফলে মামলার জটিলতার কারনে মেয়েটির লাশ আজও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিম ঘরে রক্ষিত আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মামলার রায়ে যিনি মরদেহের ভাগিদার হবেন তাকে হিমঘরের ভাড়া পরিশোধ করে মরদেহ গ্রহন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়ে হিসঘরের ভাড়া বিবেচনাও হতে পারে।

এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা অক্ষয় কুমার রায় মাষ্টার জানান, তিনি মেয়ের মরদেহ সৎ কারের জন্য আজও অপেক্ষা করছেন। আর কতদিন আমার মেয়ের মরদেহ হিমঘরে থাকবে? এমন প্রশ্ন রাখেন  তিনি।

অপর দিকে জহুরুল ইসলাম বলেন, পুত্রবধুর মরদেহ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফন সম্পন্ন করতে আদালতে রিট করেছি। কারন সে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছিল। তাকে আমি পুত্রবধু হিসাবে মেনে নিয়েছি এবং ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফন সম্পন্ন করতে চাই।

এ বিষয়ে উত্তরবাংলা ডটকম এ প্রকাশিক তিনটি সংবাদ

প্রেমিকের আত্নহত্যার পর এবার প্রেমিকার আত্মহত্যা; লাশ নিয়ে টানাহ্যাচড়া

হিন্দু-মুসলিম জটিলতায় লাশ সংরক্ষন হলো মরচ্যুয়ারীতে

২ মাস ধরে হিমঘরে তরুণীর মরদেহ

মন্তব্য করুন


 

Link copied