শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম আবুল কালাম (৩৫)। তিনি খাঁপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। খাঁপুর দাখিল মাদ্রাসার শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন নিহত আবুল কালাম।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, ইফতারের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে শিক্ষক আবুল কালাম খাঁপুর বাজারে যান। এরপর মোটরসাইকেল রেখে তিনি একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় কেউ তাকে ডেকে নিয়ে যান।
রাত ৯টার দিকে বাজারের কাছেই একটি পানবরজের পাশে আবুল কালামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এরপর ফোর্স নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। রাত ১১টা পর্যন্ত আবুল কালামের লাশ ঘটনাস্থলেই ছিল। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করছিল পুলিশ।
ওসি জানান, লাশের মাথা, পেট ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। লাশের পাশে পাওয়া গেছে তিনটি কোমল পানীয়র বোতল। ধারণা করা হচ্ছে, আবুল কালামের পরিচিত দুই ব্যক্তি তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছেন। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
‘সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হবে।’- বলেন ওসি নাসিম আহমেদ।