এদিকে বখাটেরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় মাতাব্বররা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বখাটে যুবককে চরথাপ্পর দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। বখাটে যুবকের নাম শামীম ম-ল (১৯)। সে রৌমারী উপজেলার হরিণধরা গ্রামের মতিয়ার ম-লের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রতিদিনই ঐ বখাটে যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করত। এ কারণে প্রায় ১০ দিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়েছিল সে। অভিাবকরা বিষয়টি জানতে পেরে বখাটের পিতা ও ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে বিষয়টি জানিয়ে তার বিচার চায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ওই বখাটে বৃহস্পতিবার কোচিং চলা অবস্থায় বিদ্যালয় কক্ষে ঢুকে ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ভয়ে চিৎকার করলে কোচিংয়ের শিক্ষকরা ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। উপায় না দেখে পালিয়ে যায় বখাটে।
শুক্রবার দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অফিস কক্ষে এক শালিস ডাকেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। এতে স্থানীয় আ’লীগ নেতা লাল মিয়া, বিএনপি নেতা শফিয়ার রহমান, সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম নানজু, আ’লীগ নেতা হাফিজুর রহমান, বাবুল হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত হন।
আলোচনার এক পর্যায়ে ‘এটা তেমন কিছু নয়’ বলে বখাটের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম নানজু বখাটেকে দুটি চরথাপ্পর মেরে শাস্তি প্রদান করেন।
আ’লীগ নেতা লাল মিয়া বলেন, মেয়েটারও দোষ আছে। তা না হলে কোন মেয়েকে কি কেউ এমনি এমনি ধর্ষণ চেষ্টা করে?
স্থানীয় ব্যবসায়ী এবাদ উল্ল্যাহ, আবু জাহান, যুবলীগ নেতা আমির হোসেনসহ অনেকে বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার শালিস মাতাব্বরা করতে পারে না। এটা টাকার বিনিময়ে হয়েছে। তা না হলে ধর্ষণের আসামীর চরথাপ্পর দিলেই বিচার হয়?
ছাত্রীর পিতা রশিদ সরকার বলেন, আমরা স্থানীয় নই। চাকুরী সুত্রে এখানে আছি। তাই আমি বিচার পাইনি। থানায় অভিয়োগ করেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন আমি দুর থেকে এসেছি। পরে যদি ওরা আমার মেয়ের আরও বেশি সর্বনাশ করে!
এব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।