আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

অশান্ত দার্জিলিঙ; বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে কমেছে পর্যটকদের যাতায়াত

সোমবার, ১২ জুন ২০১৭, দুপুর ০১:১৫

এদিকে দার্জিলিংয়ে বনধের মধ্যে আটকা পড়া বাংলাদেশীরা চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাংলাবান্ধা দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।

গত ৮ জুন ভারতের দার্জিলিঙে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য দাবিকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠে পুরো পাহাড় এলাকা। গোর্খাদের বনধ আর সংঘর্ষের পাহাড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকরাও। রাতারাতি সব হোটেল বন্ধ করে দেয়া হয়। পানি খাবার ও যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে চরম শঙ্কটে পড়েন পর্যটকরা। অনেকেই রাস্তায় চাদর পেতে ঘুমাতে হয়েছে আবার কেউ কেউ নিয়মিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে পৌছেছেন। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপদে পাহাড় থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাহাড়ে আতঙ্কের কথা ফিরে এসে এভাবেই জানান বাংলাদেশী পর্যটক দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর এলাকার ছোটন। তার মতো চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ আরেক পর্যটক নুরে আলম বাবলুর। তিনি জানান, বাংলাবান্ধায় পা রাখার পর তিনি স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, পাহাড়ে সমস্যা চরম আকার ধারণ করায় দার্জিলিঙগামী পর্যটকদের অনেককেই তাদের ভ্রমন বিসর্জন দিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। কেউ কেউ দার্জিলিঙের উদ্দেশ্যে বের হলেও তাকে শিলিগুড়ি থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও থেকে দার্জিলিঙ ঘুরতে গিয়েছিলেন ফারুক হোসেন নামের এক যুবক। তিনি জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবাই দেখি ছোটাছুটি করছে। মুহুর্তে সকল হোটেল বন্ধ করে দেয়া হলো। খাবার ও পানির কষ্টতো আছেই। এর মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে পাহাড় থেকে নামিয়ে আনেন এবং শিলিগুড়ি পর্যন্ত পৌছে দেন।

দেবীগঞ্জ থেকে ভারতের দার্জিলিঙ দেখার উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়েছিলেন সুকুমার রায়। দার্জিলিঙ অশান্ত থাকায় তাকে শিলিগুড়ি থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে।

এদিকে পাহাড় অশান্ত হওয়ায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পর্যটকদের সংখ্যা মাত্রাতিক্ত হারে কমেছে। প্রতিদিন এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কয়েকশ মানুষ ভারতে গেলেও বর্তমানে মাত্র ৬০-৭০ জন ভারতে যাচ্ছে। এদেশ অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের সুপারভাইজার হাসান আলী জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশী অনেক পর্যটক ভারতের দার্জিলিঙ ঘুরতে যায়। কিন্তু সম্প্রতি দার্জিলিঙয়ে গোর্খাদের আন্দোলনের কারণে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াত একেবারে কমে গেছে। ভারত থেকে পর্যটকরা অনেকেই ফিরে আসছেন। তবে এখন যারা ভারতে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই চিকিৎসা সেবার জন্য যাচ্ছেন।

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied