রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার বিকেলে রামেকের মর্গে সুমনের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সুমন জেলার তানোর উপজেলার সাহাজীপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।
গত ৬ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সুমনের তিন বন্ধু তাকে বর্বর নির্যাতন করে। ওই দিন ছুরি দিয়ে সুমনের নাক ও দুই কান কেটে ফেলা হয়। হাতুড়ি দিয়ে মুখের কয়েকটি দাঁতও তুলে ফেলা হয়। এছাড়া হাতুড়ির আঘাতে সুমনের বুকের কয়েকটি হাড় ভেঙে ফেলা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হেরে গেল সুমন।
এদিকে সুমনকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা ছেলের তিন কিশোর তিন বন্ধুকে আসামি তানোর থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। আসামিরা হলো- উপজেলার তাঁতিহাটি হাটখোলাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র (১৫) ও সুলতানের সরেনের ছেলে রকি সরেন (১৩) এবং বড়পুকুরিয়া হঠাৎপাড়া গ্রামের কাদন সরেনের ছেলে আপন সরেন (১৩)। মামলার পরই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, আগের হত্যাচেষ্টার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে। মামলার আসামিরাও সব কারাগারে আছে। তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।