তিনি বুধবার গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকারের বাস ভবনে ইফতারপূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা জাপা’র সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকার ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা জাপা’র সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ সরকার। এর আগে এরশাদ বিকেল পাঁচটায় রংপুর থেকে সড়ক পথে পলাশবাড়ীতে আসেন।
তিনি বলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কথা দিয়েছিল জাপা'কে ৪৮টি আসন দেবে। কিন্তু তারা নিজেরাই সেখান ১৭টি আসন নিয়ে নেয়। আমাদের সেই আসন দেয়া হলে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে তাণ্ডব করার সাহস পেত না। আমরা ৬০টি আসনে জিতলেও আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে আমাদের কাছেই আসতে হবে। আমরা দুর্বল নই, আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে এরশাদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টির প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। তারা হচ্ছেন গাইবান্ধা-১(সুন্দরগঞ্জ) ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২(সদর) মোঃ আব্দুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৩(পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকার, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) এ্যাডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু। তবে গাইবান্ধা-৪(গোবিন্দগঞ্জ) আসনে জাপা প্রার্থী কে হবেন তা পরে ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর উপজেলার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে আগামী নির্বাচনের জন্য জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।