গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের নয়াদীঘি এলাকার নয়াদীঘি ইসলামপুর মসজিদ চত্তরে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আমিনুর রহমান ওই এলাকার নজিম উদ্দীনের পুত্র। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- নিহত আমিনুর রহমানের ছেলে সোহেল (২০) ছোট ভাই মোমিনুর রহমান (৫০) প্রতিপক্ষের নুর নবী (৪০) ও তার বাবা এমাজ উদ্দীন (৭২) মা নাজিরা বেগম (৬৫) ও স্ত্রী শিরিন আকতার (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনার মূল অভিযুক্ত নুর নবীকে সংঘর্ষের পরে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে তিনি পালিয়া যায়। পরে বোদা থানা পুলিশ নুর নবীর বাবা, মা ও তার স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বোদা উপজেলার নয়দীঘি ইসলামপুর মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও কমিটি গঠন নিয়ে মসজিদ চত্তরে একটি মিটিং শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষে টাকার হিসাব নিয়ে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি নুর আলমের ভাই নুর নবীর সঙ্গে ওই মসজিদের মুসল্লি আমিনুর রহমানের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে আমিনুর রহমানের মাথায় আঘাত লাগলে আমিনুর রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় আহত দু’পক্ষের ছয়জনকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.হাবিবুল্লাহ রাসেল বলেন, আমিনুর রহমানকে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সঠিক ধারণা না পেলেও মাথায় আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম নুরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে বোদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
