শনিবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন চিঠি দুটি তার কার্যালয়ে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। একটি খামের ওপর তার ও সভাপতির ঠিকানা অন্যটিতে শরিফুল ইসলামের ঠিকানা লেখা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আল মামুন বলেন, শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে কার্যালয়ে এসে মেঝেতে সাদা খামে দুটি চিঠি পড়ে থাকতে দেখেন। একটির ওপরে সাধারণ সম্পাদক/সভাপতি লেখা রয়েছে। অন্যটির ওপর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের নাম লেখা রয়েছে। আমার খামটি খুলে একটি চিঠি ও রক্তমাখা এক টুকরা কাফনের কাপড় পেয়েছি।
চিঠির ওপরের দিকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল ইসলাম স্বপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সাকিব বাকী, সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, জেলা তাঁতি লীগের সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনের নাম লেখা রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এ নামের পর নিচে লেখা হয়েছে, তারা সবাই যেন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হন। এই দুনিয়াতে তাদের যা খাবার ও দেখার তা শেষ করেন।তাদের নাটোরে থাকার স্থান নাই। তাদের মৃত্যুর হুকুম হয়ে গেছে। তাদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তা কাজে লাগাননি। পরবর্তীতে আরও সাতজনকে সতর্ক থাকার কথাও লেখা রয়েছে চিঠিতে। তবে তারা কারা তা উল্লেখ নাই।”
চিঠিটির সঙ্গে রক্তমাখা কাফনের কাপড়ের একটি টুকরা লাগানো আছে বলে জানান তিনি।
চিঠিটি পড়ার পর পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান আল মামুন।
জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল ইসলাম স্বপন চিঠির খবর পেয়ে প্রেসক্লাবে যান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নাটোরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ আছে। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান রমজান ভাইয়ের সঙ্গে চলাফেরা করি। যাদের নাম এসেছে তারা সবাই সম্প্রতি সাংবাদিকদের নিয়ে একটি ইফতার মাহফিল করেছি। এটা আমাদের দলের অনেকে পছন্দ করেননি। তাদের কেউ ভয় দেখানোর জন্য আমাদের নামে এ চিঠি দিয়ে থাকতে পারে।”
তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সদল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। চিঠিটি জব্দ করে প্রেরককে সনাক্ত করার চেষ্টা করছি আমরা।”