মঙ্গলবার(২০ জুন) স্থানীয় জেলেদের জালে ওই উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেবমোড় এলাকায় তিস্তা নদীতে এ বিশাল ওজনের বোয়াল মাছটি ধরা পড়ে। তবে বোয়াল মাছটি মা মাছ এবং পেটে ডিম রয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় জেলে বাচ্চা মিয়া, রহম আলী ও সাইফুল আলীসহ কয়েকজন জেলে মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে নামেন। এক পর্যায়ে মাছটি জেলেদের জালে আটক হলে মাছ ধরা যন্ত্র জুতি ব্যবহার করে মাছটি পানি থেকে ডাঙায় উঠানো হয়। পরে তা বিক্রির জন্য স্থানীয় তালেবমোড় নিয়ে এলে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বিশাল ওজনের বোয়াল মাছ ধরা পড়ার খবরে অনেকেই এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন।
স্থানীয় জেলে বাচ্চা মিয়া বলেন, তিস্তা নদীতে সবসময় সমানভাবে পানিপ্রবাহ চালু থাকলে হয়তো পানির সাথে মাছও চলাচল করতো। আমরা মাছ ধরেই জীবন-জীবিকা করতে পারতাম। কিন্তু বর্ষাকালে পানি থাকলেও বাকি সময় তেমন পানি থাকে না। সেজন্য আমাদের ওই সময় পেশা পরিবর্তন করতে হয়। শীঘ্রই তিস্তার পানি চুক্তির মাধ্যমে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ চালু করা হোক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ বলেন, ‘এখন তিস্তায় বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমের তুলনায় বর্তমানে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বড় মাছও নদীতে ছুটে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগেই হয়তো স্থানীয় জেলেদের জালে বা জুতিতে বড় মাছ ধরা পড়ছে। তেমনভাবেই বোয়াল মাছটি ধরা পড়তে পারে।’