আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

সৈয়দপুরে ভিজিএফের ২৫ মেট্রিকটন গম আটক

শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭, রাত ১১:৩৬

নীলফামারী থেকে সৈয়দপুরে পাচারকালে ট্রাকভর্তি ভিজিএফের ৫০ কেজি ওজনের ৫০২ বস্তা গমসহ একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৮৫৬৪) আটক করা হয়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলা ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ নেতৃত্বে সৈয়দপুর থানা পুলিশ আজ শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় সৈয়দপুর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরীর সেলিম ফুড ইন্ড্রাষ্টীজের সামনে থেকে ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলে গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে সরকারের পক্ষে বিনামূলে ভিজিএফে প্রথমে ১০ কেজি করে চাল বিতরনের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু খাদ্যগুদামে চাল সংকট থাকায় তা পরবর্তিতে গম বিতরনের জন্য নির্দেশ আসে। জেলার ৬ উপজেলার ৬০ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভায় ৪ লাখ ৪ হাজার ৩১৫ জন কার্ডধারীর জন্য ৫ হাজার ৩৬৬.৮১ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে প্রতিজন কার্ডধারী ১৩ কেজি ২৭২ গ্রাম করে গম পাওয়ার কথা। আটককৃত গম কোন ইউনিয়নের এমন প্রশ্নে সদর উপজেলা সরকারী খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন চালান অনুযায়ী এটি টুপামারী ইউনিয়নে। অপর দিকে টুপামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মছিরত ফকির শাহ বলেন সকালে খাদ্যগুদাম হতে গম উত্তোলন করে তা আজ শনিবার বিকালের মধ্যে বিতরন সম্পন্ন করেছি। আটককৃত গম আমার নয়। অপর দিকে খাদ্যগুদামের চালানে দেখা ৫০২ বস্তায় ২৫ মেট্রিকটন সরবরাহ দেখানো হলেও ট্রাকের সঙ্গে যে চালান দেয়া হয়েছে তাতে কোন ইউনিয়নের নাম লিখা ছিল না। ট্রাক ভাড়া করা হয় সংগলশী ইউনিয়ন পরিষদে গম নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ট্রাকের সঙ্গে থাকা গমের মালিক জনৈক্য ব্যাক্তি ট্রাক চালককে সংগলশীর পরিবর্তে ট্রাকটি সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীতে নিয়ে যায়। এলাকায় অভিযোগ উঠেছে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা এই গম কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। যা একজন ব্যবসায়ী ক্রয় করে প্রতিটন ১৪ হাজার টাকায়। অথচ সরকারী ভাবে প্রতিটন গমের মূল্য ২৮ হাজার ৯৯৪ টাকা ৮২ পয়সা। সে হিসাবে পাচার হওয়া ২৫ মেট্রিক টন গমের মুল্য দাঁড়ায় ৭ লাখ ২৪ হাজার ৮৭০ টাকা ৫০ পয়সা। সেখানে এই গম কালোবাজারে বিক্রি করা হয় মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। ওই গম গুলো সৈয়দপুর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরীর সেলিম ফুড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ চত্বর হতে আটক করা হয়। নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাঃ বেলায়েত হোসেন বলেন গোপন সংবাদ পেয়ে গম গুলো আটক করা হয়। রাতে সদর উপজেলা খাদ্যগুদামে গিয়ে গম সরবরাহের চালান গুলো তদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গম গুলো কোন ইউনিয়নের জন্য চালানে সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাকসহ গমগুলো আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। এদিকে অনেকে অভিযোগ করে জানায় সরকারী খাদ্যগুদাম হতে ৫০ কেজি ওজনের গমের বস্তা দেয়া হলেও সেখানে গম পাওয়া যায় ৪৭ কেজি করে। ফলে কার্ডধারীরাও ১৩ কেজি ২৭২ গ্রামের পরিবর্তে গম পায় ৯ কেজি করে। অনিয়ম দুর্নীতি কোথায় তা যদি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয় তাহলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে অনেক সচেতন মহল মনে করছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied