এদিকে পুরো তিস্তা নদী মনিটরিং করতে বিমান বাহিনীর কাছ থেকে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিস্তার পানি ঘোলাটে হওয়ায় ক্যামারা কাজ করবে না। তাই হেলিকপ্টার নেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার(২৭ জুন) অাঁধার নামায় সন্ধ্যা ৬ টায় ৪৫মিনিটে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষনা করা হয়।
বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল গোলাম মোরশেদ জানান, সন্ধ্যায় অন্ধকার নেমমে আসায় বিএসএফ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দলের যৌথ উদ্ধার অভিযান অসমাপ্ত রেখে স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে পুনরায় একই টিম উদ্ধারাভিযানে নামবে। তবে আশা করা যাচ্ছে নিখোঁজ সুমনকে পাওয়া যাবে।
এর আগে সোমবার(২৬ জুন) দিনগত রাত ২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নং পিলার এলাকায় নিখোঁজ হন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।
এর আগে ওই রাতে একদল গরু পাচারকারীকে ধরতে ৪ সদস্যের একটি দল নিয়ে ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে পড়েন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। চোরাকারবারীদের তারা করতে গিয়ে আবুলের চর এলাকায় তিস্তার পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজ সুমনের বডি ৭৬২৪১।
তার সন্ধানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ) ৩টি ও বিজিবি ৩ টি স্প্রিডবোটে ৬টি দল তিস্তা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এ দিকে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি ডুবরী দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। দহগ্রামের আবুলের চর থেকে ৫টি স্প্রিডবোট ভাটির দিকে যাচ্ছে। অপর দিকে তিস্তা ব্যারাজ থেকে অপর একটি বিজিবি'র স্প্রিডবোট উজানের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
তিস্তায় ক্যামেরা দিয়ে তার সন্ধান করতে বিমান বাহিনীর কাছে একটি হেলিকপ্টার চেয়েছে বিজিবি। তবে পানি ঘোলা হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।
ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া গত ১৫ দিন আগে কক্সবাজার থেকে পদন্নতি নিয়ে দহগ্রামে যোগদান করেন। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি চালু রয়েছে বলে স্থানীয়দের সন্দেহ চোরাকারবারীরা তাকে অপহরন করতে পারে। তবে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক গোলাম মোরশেদ জানান, সুমনের ব্যবহৃত মোবাইলটি ক্যাম্পে রয়েছে।
বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) রংপুর অঞ্চলের রিজওনাল কমান্ডার এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাঈফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষন করছেন।
সুমনের নিখোঁজ ঘটনাস্থলের পয়েন্টে রয়েছেন বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিব) রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল গোলাম মোরশেদ। তিস্তা ব্যারাজে রয়েছেন রংপুর ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ পরিচালক মেজর মুহিত।
নিখোঁজ সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি ৬১ বিজিবি'তে কর্মরত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত রয়েছেন।
বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল গোলাম মোরশেদ জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে এবার হিলিকপ্টার দিয়ে তিস্তা নদী মনিটরিং করা হবে। ইতোমধ্যে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয়রাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। তবে তিস্তায় প্রবল স্রোতে কারনে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান সফল হয় নি। পুরো তিস্তা নদী মনিটরিং করতে বিমান বাহিনীর কাছ থেকে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিস্তার পানি ঘোলাটে হওয়ায় ক্যামারা কাজ করবে না। তাই হেলিকপ্টার নেয়া হচ্ছে না।
দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টহল দল গরু পাচারকারীদের ধরতে তিস্তা নদীর চরে অভিযান চালান। এ সময় আবুলের চর ৬/৩ এস সীমানা পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া। এরপর তার কোন খোঁজ মেলেনি।