আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

প্রসেনজিৎকে খোঁচালেন শাকিব

রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৩, রাত ০৯:৩৩

শাকিব বলেন, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা কিংবা রচনা ব্যানার্জির মতো অভিনয়শিল্পীরা এক সময় আমাদের দেশের ছবিতে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে থাকতেন। আজ তাঁরাই ছবি বিনিময়ের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের এখানে বৈঠকে আসেন।’

শাকিব বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরির জন্য আমাদের দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। তিনি আরও বলেন, এক যুগ ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা খুব একটা ভালো চলছিল না। অশ্লীলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু গত দু-এক বছরে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে একটা ইতিবাচক পরিবর্তনের আভাস আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। নতুন অনেক নির্মাতা আসছেন, চলচ্চিত্র অনুরাগী প্রযোজকেরাও ছবি নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন, পাওয়া যাচ্ছে মেধাবী বেশ কিছু নতুন মুখ। এমনকি ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে বাড়ছে বাজেটও, যা ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের অন্যতম পূর্বশর্ত। এভাবে কয়েকটা বছর চলতে থাকলে বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে সবাই একটা সময় যে গর্ব করতেন, তা আবারও ফিরে আসবে। আর আমাদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর সময়টাতে পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয়টির সিদ্ধান্ত মোটেও ভালো হচ্ছে না।

তাহলে দুই বাংলায় কেমন উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য ভালো কিছু হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব বলেন, চলচ্চিত্রে আমাদের অবকাঠামোগত দিক দিয়ে অনেক ধরনের সমস্যাই রয়ে গেছে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোটি টাকার বাজেট এসেছে, আবার ফিরেও যাচ্ছে, যা চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সবারই নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। আগে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র বিশ্ববাজারে উপস্থাপনের উপযোগী করে তৈরি করার জন্য প্রযুক্তিগত থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। তারপরই ছবি পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয়টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তিনি বলেন, এর বাইরে এখন যদি কলকাতার চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা আমাদের চলচ্চিত্রের মঙ্গল চান, তাহলে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের দিকে আমরা মনোযোগটা বেশি দিলে ভালো হবে বলে আমি মনে করছি।

তা ছাড়া আমাদের সরকারি পর্যায় থেকে উদ্যোগ নিয়ে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে কলকাতায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে আমাদের অভিনয়শিল্পী সম্পর্কে ওপার বাংলার মানুষেরা জানতে পারবেন। তখন আমাদেরও একটা বাজার সেখানে তৈরি হবে। তারপরই না হয় পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয়টির সিদ্ধান্ত যুক্তিসংগত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

শাকিব এও বলেন, আমাদের দেশে কিন্তু অনেক ভালো ভালো অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা রয়েছেন। যাঁরা কোনো অংশে কলকাতার চেয়ে পিছিয়ে নেই। আমাদের দেশে ভালো মানের চলচ্চিত্র ও নাটক ইদানীংকালে তৈরি হচ্ছে। তাহলে আমাদের চ্যানেলগুলো সেখানকার দর্শকদের কাছে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এতটা ভয় কেন? কলকাতা কিংবা পুরো ভারতের চ্যানেলগুলো যেমন আমাদের দেশে অবাধে চলছে, আমাদের চ্যানেলগুলোকে সেখানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে দিন না। তারপর দেখেন, আপনাদের দর্শকেরা আমাদের গ্রহণ করেন কি না? এ ক্ষেত্রে বরাবরই আমাদের সরকারি পর্যায়ে নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিরা উদাসীন ছিলেন এবং এখনো আছেন। পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয়টিতে আমার কোনো সমস্যা নেই, তবে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামানোর আগে আগে আমাকে তো তৈরি হতে হবে, নাকি?

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই প্রসেনজিৎসহ কলকাতা চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তথ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রসেনজিতের ঢাকা সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই বাংলার সিনেমার পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে প্রদর্শন। আলোচনা শেষে ওই দিনই তাঁরা ঢাকা ছাড়েন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষে সাইদুর রহমান মানিক ও ড্যানি সিডাক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষে সমিতির সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ও মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর। বিশেষভাবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা কুসুম শিকদার। তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied