শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ওই নারীকে হত্যা করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম এলিনা বেগম (২৩)। আটক হওয়া তার স্বামীর নাম মাসুম আলী (২৮)। তিনি গোদাগাড়ীর গোগ্রাম ইউনিয়নের মুরারিপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই এলিনাকে মেনে নিতে পারছিলেন না মাসুম। এ কারণে মাঝে মধ্যেই তিনি এলিনার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এলিনাকে গলাটিপে হত্যা করেন মাসুম। পরে স্ত্রীর হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সেটিকে স্বাভাবিক মুত্যু বলে প্রচার করতে থাকেন মাসুম।
নিহত এলিনার দুই কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাসুমকে আটক করেছে।
নিহত এলিনার মা ছবি আরা বেওয়া অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিন বছর আগে এলিনার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই মাসুম তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিলেন বলেও দাবি করেন ছবি আরা। ছবি আরার বাড়ি উপজেলার কৈশবপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
তবে আটক মাসুম আলী দাবি করেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গেই ঘুমান। পরে ভোর ৫টার দিকে দেখেন তার স্ত্রী এলিনা বেগম মরে বিছানায় পড়ে আছে। এরপর তিনি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান।
গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুর আলম মুন্সি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিহতের স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
