আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

সাক্ষ্য দিয়ে দেশে ফিরলেন ফেলানীর বাবা-মামা

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০১৩, দুপুর ০৩:২১

নি

[caption id="attachment_13703" align="alignleft" width="300"] ছবি- সাফিউল ইসলাম সাফি[/caption]

য়াজ আহম্মেদ সিপন,পাটগ্রাম থেকে ফিরে: ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রদান শেষে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দর হয়ে দেশে ফিরলেন বাবা নুর ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফসহ বাংলাদেশের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

গত সোমবার ভারতীয় ওই আদালত তাদের সাক্ষ্য নেয়। বাংলাদেশী সাক্ষীদের স্ব্যা গ্রহণ শেষ হলেও বিশেষ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওই আদালতে তার মেয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেছেন। তিনি আশাবাদী হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, এ হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেলানীর বাবা ও মামা তাদের সাক্ষ্যতে প্রমান করতে পেয়েছে, তাদের মেয়েকে বিএসএফ’র ওই সদস্য গুলি করে হত্যার পর লাশ কাটাঁ তারের বেড়ায় ঝুলে রাখে। তিনিও আশা প্রকাশ করেন, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

বাংলাদেশী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন জেরা ও জবানবন্দি গ্রহণ করেন ভারতের ডিফেন্স কর্মকর্তা মিস্টার সিন্ধু। তাকে সহযোগিতা করেন এসোসিয়েট অ্যাডভোকেট মি: আনন্দ জ্যোতি মজুমদার। বিএসএফ’র পে শুনানিতে অংশ নেয় ভারতের পাবলিক প্রসিকিউটর বিপিন কুমার। বাংলাদেশী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের আগে ভারতীয় ৬ জনের স্যা গ্রহণ করেছে বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। ৫ সদস্যের বিচারক মন্ডলির সভাপতিত্ব করেন ডিআইজি সিপি ত্রিবেদী। এ সময় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচার কার্যক্রম পর্যবেণ করেন, কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।

সুত্র মতে, বিএসএফ আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারায় আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভারতীয় দ-বিধির ৩০৪ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিএসএফ’র আইন অনুযায়ী মামলার রায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কলকাতায় বিএসএফ’র ডিজি (পুর্ব) বি. ডি শর্মার কাছে পাঠানো হবে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে বাবার সঙ্গে কুড়িগ্রামে আসার পথে অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ছবি সম্বলিত সংবাদটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি ওঠে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প থেকে। এরই প্রেেিত অবশেষে দীর্ঘ আড়াই বছর পর গত ১৩ আগষ্ট থেকে ভারতের কোচবিহারে ১৮১ বিএসএফ’র সদর দপ্তরে কঠোর গোপনীয়তায় বিচার কাজ চলছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied