মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালত-১ এর বিচারক রাশেদা সুলতানা ওই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এসময় কর্ণেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খানকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে কাদের খানের নিজ হেফাজতে অস্ত্র ও গুলি রাখার অপরাধে অস্ত্র আইন এর ১৯-এ এবং ১৯-এফ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাড. মো. শফিকুল ইসলাম শফি।
অভিযোগকারী মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু হায়দার মোঃ আশরাফুজ্জামান আদালতকে জানান, এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় ৩টি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে ১টি অস্ত্র আবদুল কাদের খান নিজে থানায় জমা দিয়েছেন। দ্বিতীয় অস্ত্রটি আব্দুল কাদের খানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি তার গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তৃতীয় অস্ত্রটির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত উলে¬¬খ্য যে,, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় লিটনের বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।