নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বগুলাগাড়ি কামারপাড়ায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী কল্পনা রানী (৪৫) কে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত কল্পনা রানী দুই সন্তানের জনক এবং তিনি নীলফামারীর জলঢাকার শালন গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ রায়ের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার ডলার ব্যবসায়ী শ্রী বিষ্ণু চন্দ্র রায় (৫০) স্ত্রী থাকা অবস্থায় গত তিন মাস আগে পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জে কণিকা রানী (২৫) নামে একজনকে বিয়ে করেন। গেল এক সপ্তাহে ওই ২য় স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন বিষ্ণু চন্দ্র রায়। এনিয়ে প্রতিদিনই ঝগড়ার এক পর্যায়ে গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে আগের স্ত্রী কল্পনা রানীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর পরই ২য় স্ত্রীসহ বিষ্ণুচন্দ্র শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
কল্পনা রানীর মা পারুল বালা জানান, আমার মেয়েকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। কল্পনা রানীর ছোট ছেলে গনেশ চন্দ্র রায় (১৪) জানান, আমার বাবা ২য় বিয়ে করে বাড়ি আনার পর থেকেই প্রতিদিনই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো। বাবাই আমার মাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে সে।
খবর পেয়ে কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশীদ জানান, ময়না তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না হত্যা না আত্মহত্যা। তবে এ ঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
