আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

বড়পুকুরিয়ায় খনিতে কয়লা বিক্রিতে শুভংকরের ফাঁকি !

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭, দুপুর ১০:৫২

খনির কতিপয় কর্তৃপক্ষ কিছু অসাধৃ ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে গত ১৬ এপ্রিল ২০১৭ইং ১৫হাজার ৯’শত ২১টাকা দামে কয়লা বিক্রি শুরু করেন। গত ১৭জুলাই খনির মজুদ থেকে ৪২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে কয়লা বিক্রি করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন,বর্ষাকালীন সময়ে বিশেষ কারনে কিছুটা ছাড় দিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য ১২ হাজার ৫’শত ১১টাকা দামে কয়লা বিক্রি শুরু করা হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পে মজুদ কয়লা রয়েছে প্রায় ১লাখ মেট্রিকটন। বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ ২’শ ৫০ মেগওয়ার্ট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সচল রাখতে যে পরিমান কয়লার প্রয়োজন হয় সেই পরিমান কয়লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(পিডিবি)কে দেয়ার পর বাঁকী কয়লা বিক্রি করা হচ্চে বলে তাদের দাবী। ১’শত টন থেকে ৫হাজার মেট্ট্রিক টন কয়লা বিক্রি করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ১’শত টন থেকে ২হাজার ৫’শত টন পর্যন্ত কয়লা ক্রয় করেন। কিন্তু তা নিয়ম নীতি বর্হিভুত বলে খোদ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলেও তাদের দাবী। তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে বলে তারা জানিয়েছেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মজিবর রহমান,সাধারন সম্পাদক মো. রায়হান আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক ২০ জুলাই ২০১৭ইং খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এর বরাবরে কয়লা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। এদিকে একটি সূত্র জানায় গত ২২জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা ব্যবসায়ী সমিতি প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি লুটপাতের অভিযোগ তুলেন।ইতিপূর্বে ১দিনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ৭০হাজার মেট্রিকটন কয়লা বিক্রি হয়।

এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপ মহাব্যবস্থাপক(সেলস এন্ড মার্কেটিং) খান মোহাম্মাদ জাফর সাদিক এর সাথে কয়লা বিক্রয়ের বিষয়ে যেগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা কয়লা বিক্রি সিন্ডিকেটের কথা বলছে এবং কোম্পানীর কয়েকজন অসাধু ঠিকাদার জড়িত হওয়ার কথা বলছে তা ঠিক নয়। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কর্মকর্তারা বিধি মোতাবেক নিয়নতান্ত্রিক ভাবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪২টি প্রতিষ্ঠানের নিকট ডিও বিক্রি করা হয়। এখানে অনিয়ম করার কোন জায়গা নেই।

এদিকে কোম্পানীর সচিব আবুল কাশেম প্রধানীয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। কয়লা বিক্রয়ের বিষয়ে খনির কর্মকর্তা রয়েছে। তারাই কয়লা বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করার কোন অবস্থান নেই। কয়লা ক্রয় কারী প্রতিষ্ঠান গুলি অত্যন্ত স্বচ্ছল। তারা অর্থ দিয়ে কয়লা ক্রয় করছে। যারা এসব রটাচ্ছে তারা নিজের স্বার্থ হাছিল করার জন্য।

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied