আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুর বিভাগ থেকে ২০ বছরে ২ লাখ ২৭ হাজার কর্মী বিদেশ গেছেন       দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯      

 width=
 

বাবা’র স্বপ্ন পূরণ না হতেই, ছেলে না ফেরার দেশে

বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭, দুপুর ০৩:৪৮

মঙ্গলবার দুপুরে আবির সহপাঠিদের সাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পানিতে ডুবে আবিরের মৃত্যুর খবর শুনে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধু ও শুভাকাঙ্খিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে।

আবিরের খুব কাছের ছোট ভাই নেওয়াজ নিলয় তার ফেসবুক টাইম লাইনে লিখিছেন, “আমার কাছ থেকে এক ভাই চলে গেলো, খুব কষ্ট হচ্ছে এত্ত তাড়াতাড়ি তোমাকে হারাবো আবির ভাই। শুনে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। নিজের ভাইয়ের থেকে বেশি আদর করছো সবাই। আল্লাহ তোমাকে বেহেশত নসিব করুক এই কামনা করি। মাফ করে দিও ভাই তোমার জানাযাতে শরিক হতে পারলাম না।”

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান সাবু জানান, মেধাবী শিক্ষর্থীরা আবিরের অকাল প্রয়াণে আমরা সকলেই শোকাহত। এভাবে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী পরিবার পরিজনকে রেখে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মেনে নেওয়াটা খুবই কষ্টকর।

জানা গেছে, আবিরের বাবা আজমত রানা। ঠাকুরগাঁও শহরের একজন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও কলামিষ্ট হিসেবেই পরিচিতি তার। ঠাকুরগাঁও পিডিবি রোড পাওয়ার গ্রীড হাউজে কর্মরত আছেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার গড়ে ছিল আজমত রানা। শহরের বড়মাঠের পাশেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পরিবারকে নিয়ে।

ছোট পরিবারটিকে নিয়ে ছিল আজমত রানার সকল স্বপ্ন। বড় ছেলে আবিরকে ইঞ্জিনিয়ার ও ছোট মেয়েকে ডাক্তার হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল তার স্বপ্ন।

আবির ২০১১ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসিতে কৃতীর্তের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সাভারের একটি কলেজে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করে দেন বাবা আজমত রানা। আবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে আবিরকে নিয়ে সেই স্বপ্ন যেন মরিচিকায় পরিণত হয়েছে বাবার। আবির বন্ধুদের সাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে না ফেরার দেশে চলেন গেছে। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা আজমত রানা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। কোন মতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ছেলে আবির সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাবে। আবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু বাবার স্বপ্ন তো স্বপ্নই রয়ে গেল। শুধু পরিবার, আতœীয়-স্বজন ও বন্ধুদের ছেড়ে সে চলে গেল।

আজ বুধবার সাভার থেকে আবির মাহাফুজের মরদেহ ঠাকুরগাঁওয়ে পৌছাবে। পড়ে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied