বুধবার জিলা স্কুল মাঠে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম আশরাফ আলী, সামাজিক বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায়, মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা ড. সাইফুল আরেফিন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ অগ্রনী ভূমিকা রাখে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন বনভূমির পরিমান কমে গেছে। এতে করে মানুষ গাছ কেটে বন উজার করছে। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাড়িয়েছে। তাই বর্তমানে আমাদের সামাজিক বনায়নের দিকে ঝুঁকতে হবে। একটি গাছ কাটার বিপরীতে ২টি করে গাছ লাগাতে হবে। পতিত স্থানে, সড়কের পাশে গাছ লাগিয়ে আমাদের সামাজিক বনায়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় বক্তারা জানান, বিভাগীয় বনজ, ফলদ ও ভেষদ বৃক্ষমেলায় এবার ৩৪ লাখ টাকার গাছের চারা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় রংপুর বিভাগে বড় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারে পক্ষ থেকে। প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকার বনজ, ফলদ ও ঔষধী চারা বিতরন করা হয়েছে। ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ সামাজিক বনায়নের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে ছাদকে বাগান করতে চাইলে সর্বাত্মক সহায়তা ও পরার্মশ প্রদান করার কথা জানান বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
১৫দিনব্যাপী এ মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে শালবন মিস্ত্রিপাড়ার সততা নার্সারী। এছাড়া যৌথভাবে নুরপুরের এ্যাম এগ্রোনার্সারী, বদরগঞ্জ রোডের লামইয়া নার্সারী দ্বিতীয় এবং শালবন মিস্ত্রিপাড়ার মিতু নার্সারী তৃতীয় স্থান অর্জন করে। পরে বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
