বগুড়া: বগুড়ায় ডাক্তারি পরীক্ষায় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের আলামত মিলেছে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে পৌঁছেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রিপোর্টে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে এবং তাকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কেএম সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সোমবার (৩১ আগস্ট) ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার তিনি ফরেনসিক বিভাগের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এতে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের আলামত পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া রিপোর্টে ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রীর বড় বোন মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তুফানের সহযোগী মুন্নার দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে হয়েছে। তাদের আজ (শুক্রবার) আদালতে হাজির করা হবে। তুফানের স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমাকে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তৃতীয় দফা ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় নামঞ্জুর করেন। তিনি ৭ দিনের মধ্যে তাদের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছেন। তুফানের সহযোগী আতিক ও নাপিত জীবন রবিদাস ইতোমধ্যে ওই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই তুফান সরকার তার বাহিনী নিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। তুফানকে বাঁচাতে তার স্ত্রী আশা, তার বোন কাউন্সিলর রুমকি ও মা রুমা গত ২৮ জুলাই ওই ছাত্রী ও তার মাকে রুমকির বাড়িতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর দুজনের চুল কেটে দেওয়া হয়।
এ বাপারে ছাত্রীর মা ২৯ জুলাই সদর থানায় তুফান, রুমকি, আশা, রুমাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহার নামীও ৯ জনসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।