হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ২৫ এপ্রিল ১২টি হাইটেক পার্ক প্রকল্পের জন্য এক হাজার আটশ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে রংপুর হাইটেক পার্ক এর জন্যে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, প্রাক্কলিত এক হাজার আটশ কোটি টাকার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। ভারতীয় দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট অর্থায়ন করবে বাকী এক হাজার পাঁচশত কোটি টাকা।
রংপুর হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক শফিক উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘এই প্রকল্পের জন্য আট একর জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছরে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে জমি হস্তান্তর করবে জেলা প্রশাসক। আগামী এপ্রিল বা মে মাসে শুরু হবে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ।’
তিনি আরো বলেন, ‘রংপুর হাইটেক পার্কে নির্মিত হবে একটি সাত তলা বিশিষ্ট স্টিলের মাল্টিটেনেন্ট ভবন ও তিন তলা বিশিষ্ট একটি ডরমেটরি ভবন।’
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামন মুক্তা জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রংপুরে পাঁচ হাজার বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। এখানে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা এখানে সফটওয়্যার, এপস, গেমস ও কার্টুন নির্মাণ করবে। কল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হবে। তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান সম্পন্ন তরুণ, যুবকেরা এখান থেকে আউটসোর্সিং বা ফিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।