দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই মামলার বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের যৌথ বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূইয়া ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য পাঁচজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।
ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধান এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। এছাড়া জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।