আবদুল আজিজ বলেন, “ডুব ছবি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ অনেক দেখতে পাচ্ছি। কবে ‘ডুব’ মুক্তি পাবে এ রকম প্রশ্নের মুখোমুখি আমাকে প্রায় হতে হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমেও অনেক দর্শক ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অবশেষে দর্শকদের ‘ডুব’ ছবিটি দেখাতে আমরা পারব। এ কারণেই মূলত অনেক ভালো লাগছে।”
‘ডুব’ কবে মুক্তি পাবে—জানতে চাইলে আবদুল আজিজ বলেন, ‘নভেম্বরে ডুব মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঠিক কত তারিখে মুক্তি পাবে, এটা এখনো আমরা ঠিক করিনি।’
‘ডুব’ ছবির মুক্তির খবর পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছবির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “ওকে, আপনাদের মতো আমরাও জানতে পেরেছি ‘ডুব’-এর সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আমরা সার্টিফিকেট হাতে পাবে। এই দীর্ঘ অপেক্ষার সময়ে আপনাদের সমর্থন আমাদের স্পিরিট ঠিকঠাক রেখেছে। আপনাদের ধন্যবাদ। সেন্সর বোর্ডকে ধন্যবাদ। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে ধন্যবাদ। এই খুশির খবরে, কাল বা পরশু আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে আসছে ‘ডুব’ ছবির একমাত্র গান চিরকুটের গাওয়া ‘আহা জীবন’-এর লিরিক ভিডিও। সবাই ভালো থাকবেন।”
‘ডুব’ ছবির বিভ্ন্নি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী, টলিউডের পার্নো মিত্র, বলিউডের ইরফান খান প্রমুখ।
ছবিটি বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ভারতে এস কে মুভিজ। এ ছাড়া ছবির সহপ্রযোজক হিসেবে আছেন ইরফান খান।
ছবিটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে। ১৪ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পাবে বলেও জানিয়েছিলেন আবদুল আজিজ। কিন্তু সেটা হয়নি। ছবির কাহিনী জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনী থেকে নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানান ছবির কিছু শিল্পী। এ কারণেই হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছবিটি প্রসঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে সেন্সর বোর্ডে একটি চিঠি পাঠান। শাওন তখন গণমাধ্যমগুলোতে জানিয়েছিলেন, ছবি মুক্তি নিয়ে তাঁর কোনো অভিযোগ কিংবা আপত্তি নেই, তবে ছবির কাহিনী হুমায়ূন আহমেদের জীবনী থেকে নেওয়া হলে তাঁর আপত্তি রয়েছে, কারণ এ-সংক্রান্ত কোনো অনুমোদন প্রযোজক বা পরিচালক লেখকের পরিবার থেকে নেননি।
অন্যদিকে, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, ছবিটি হুমায়ূন আহমেদের জীবনী থেকে তিনি নেননি। মৌলিক চিত্রনাট্য থেকে তিনি ছবিটি নির্মাণ করেছেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ছবিটি রাশিয়ার ৩৯তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়াইয়ের জন্য নির্বাচিত হয়।